এভাবে এখনও চটেনি কোনও তারকা, যতটা প্রকাশ্য হয়েছেন টিভি নায়িকা মুমতাহিনা টয়া। অধিকারও রয়েছে বটে, কারণ তিনিও ছিলেন নিজের মতো করে ছাত্র-জনতার পাশে আন্দোলনের দিনগুলোতে। তারচেয়ে বড় বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার তথা সমন্বয়কদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনিই প্রথম প্রকাশ্য সমালোচনার পতাকা তুলেছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।
১৬ আগস্ট স্পষ্ট ভাষায় টয়া বলেছেন, ‘বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই হলো, কিন্তু প্রয়োগ করা এখনও যাচ্ছে না।’
টয়ার প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ‘যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায় বলেছি এবং বলছি।’ তার অর্থ তিনি এই সরকারের সমালোচনাও করে যাবেন নিয়মিত, তাতে তিনি পিছ পা হবেন না। তিনি মনে করেন, বাকস্বাধীনতার জন্যই তো এই আন্দোলন ও বিজয়।
ফেসবুকে এমন কড়া ভাষায় স্ট্যাটাস দেওয়ার পর যথারীতি বড় একটি গ্রুপ টয়ার সমালোচনা শুরু করেন মন্তব্যের ঘরে এসে। কিন্তু ঠিক কী ভেবে কিংবা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে টয়া এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। সেটি প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে টয়ার ভাষ্য এমন, ‘আগে ভিন্নমতের মানুষকে দমন করার একটা মানসিকতা দেখেছি, যা থেকে আমরা মুক্ত হতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি। এখনও সমালোচনা করলে পোস্টের নিচে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এজন্যই স্ট্যাটাসটি দেওয়া।’
মুমতাহিনা টয়া, সাম্প্রতিক সময়ে টিভি নাটকের কাজ কমিয়ে চেষ্টা করছেন সিনেমা ও ওটিটিতে নিজেকে মেলে ধরার। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জানাবেন বেশ ক’টি কাজের খবর।