চলে গেলেন অভিনেত্রী দিতি

দিতি।ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নন্দিত অভিনেত্রী দিতি। আজ রবিবার বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।


বাংলা ট্রিবিউনকে খবরটি নিশ্চিত করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ অব কমিউনিকেশনস ডা. সাগুফা আনোয়ার।
টানা তিন মাস ক্যানসার চিকিৎসার পর ভারতের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতাল থেকে গেল ৮ জানুয়ারি অসুস্থতা নিয়েই দেশে ফিরেন অভিনেত্রী দিতি। একই দিন সরাসরি ভর্তি করানো হয় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। এতদিন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মাস তিনেক আগে হাসপাতালে দিতির পাশে পুত্র ও কন্যা।প্রসঙ্গত, পুরো নাম পারভীন সুলতানা দিতি। ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ তার জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু।

এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে তিনি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারেরমতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উসিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা, শেষ উপহার, চরম আঘাত, অপরাধী, কালিয়া, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা প্রভৃতি। দিতি অসুস্থ হওয়ার আগে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন রেদওয়ান রনির ‘আইসক্রিম’ ছবিতে। যা মুক্তি পাচ্ছে ২৯ এপ্রিল।
গেল ক’বছর দিতি ছোট পর্দায়ও নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। একক ও ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন। সঙ্গে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করেছেন সাফল্যের সঙ্গে।

দিতির দুই সন্তান। ছেলে দীপ্ত এবং লামিয়া।

/এমএম/