বলা হয়ে থাকে, ‘হাইওয়ে’ সিনেমার মাধ্যমেই আলিয়া ভাট অভিনেত্রীর খেতাব পেয়েছিলেন। এই সিনেমায় তার দুর্দান্ত অভিনয় সবার মনে এখনও দাগ কেটে রেখেছে। অথচ আপনি জানেন কী, ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় অভিনয়ই করতে চাননি আলিয়া! এই খবর দিয়েছেন খোদ নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী।
ইমতিয়াজ আলী যখন ‘হাইওয়ে’ নির্মাণ করেন, তখন আলিয়ার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আলিয়া স্ক্রিপ্ট পড়ে রীতিমত খাবড়ে গিয়েছিলেন এই ভেবে যে, তিনি কাজটি ঠিকঠাক করতে পারবেন কিনা। বাবা মহেশ ভাট মেয়েকে রাজি করিয়েছিলেন, ‘হাইওয়ে’ সিনেমা সাইন করতে।
ইমতিয়াজ আলীর সৃষ্টি করা প্রত্যেকটি চরিত্র অমর হয়ে আছে। যেমন ‘জাব উই মেট’-এ গীত (কারিনা কাপুর), ‘তামাশা’ সিনেমার বেদ (রণবীর কাপুর) এবং ‘হাইওয়ে’তে বীরা (আলিয়া ভাট)।
ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি যখন কোনও স্ক্রিপ লিখি, তখন আমার মনে একটা চরিত্র থাকে।’
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি সবসময় ‘জাব উই মেট’ সিনেমায় গীত এর জন্য কারিনাকে চেয়েছিলাম। প্রথমে কারিনাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি কাজটি করেন। গীত চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কারিনাই আমার প্রথম পছন্দ ছিলেন।”
এ বিষয়ে ইমতিয়াজ বলেন, "আমি ভেবেছিলাম ‘হাইওয়ে’তে একজন ৩০ বছর বয়সী, পরিণত অভিনেত্রীকে কাস্ট করবো। এমন একজন যিনি পৃথিবী দেখেছেন এবং বিদ্রোহ করবেন। কিন্তু যখন আমি আলিয়ার সাথে দেখা করি, তখন আমি ভেবেছিলাম, ‘এটিই সেই মেয়ে।’ আলিয়া তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। কিন্তু চরিত্রটির জন্য প্রয়োজনীয় আবেগগত গভীরতা তার ছিল। তখন সে খুব বেশি কাজ করেনি, আর আমি তার ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমাও দেখিনি, কিন্তু তার কথা বলার ধরণটা ছিল খুবই মনোমুগ্ধকর।”
এই নির্মাতা বলেন, ‘আমি তার বাড়িতে যেতাম। অন্যদিকে, ভাট সাহেব তাকে এটা করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন। আলিয়া একটু ভয় পেয়েছিলেন। কারণ প্রতিটি দৃশ্যেই তার উপস্থিতি ছিল। তিনি ভাবছিলেন, কাজটি করা হয়তো তার জন্য খুব বেশি চ্যালেঞ্জের হবে।’
উল্লেখ্য, ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় আলিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন রণদীপ হুদা।