একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর বেশ লম্বা সময় ধরে পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। সেখানেই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ল্যাকেম্বার একটি রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন শাবনূর, অসাবধানতাবশত রাস্তায় পড়ে গিয়ে পা মচকে গেছে।
শাবনূর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১০ মে সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পায়ে প্লাস্টার করিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খাচ্ছেন। চিকিৎসক তাকে দুই সপ্তাহ প্লাস্টার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ল্যাকেম্বায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সেদিন আর বাসায় ফেরেননি। পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। পরদিন ছেলে আইজান নেহানকে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান।
শাবনূর বলেন, ‘মোবাইলে কথা বলতে বলতে ল্যাকেম্বার রাস্তায় হাঁটছিলাম। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত ফুটপাত থেকে পড়ে যাই। পা মচকে যায়। হাঁটুর চামড়াও ছিলে গেছে। ব্যথায় এমন অবস্থা হয় যে ওঠার মতো শক্তি ছিল না। তারপর হেল্প নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। জানতে পারি টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাকে এখন ক্রাচে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে।’
ঘটনাটি তারই ভুলে হয়েছে বলে জানান শাবনূর। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার এই দুর্ঘটনা সমাজের জন্য একটা বার্তা। ব্যথাটা পেয়ে আমার আক্কেল হয়েছে, জীবনে কোনো দিন কোথাও হাঁটতে-চলতে গিয়ে মোবাইল দেখবো না। গাড়ি চালানোর সময়ও মোবাইল দেখবো না। আজ আমার হয়তো অল্প কিছুর ওপর দিয়ে গেছে। যদি গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতো, তাহলে আমার কারণে অন্য কোনো একটা মানুষেরও বিশাল বিপদ হতে পারতো।’
বলা প্রয়োজন, শাবনুর দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পরিবার নিয়ে বাস করছেন। সময়-সুযোগ বুঝে দেশে ঘুরে যান। গত বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ দিয়ে ক্যামেরার সামনে ফিরেছিলেন শাবনূর। এমনকি তিনি টানা ছয় দিন শুটিংও করেছিলেন। এরপর বন্ধ হয়ে যায় সিনেমাটির কাজ।