সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ-পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ, ঠিক এমন অভিনব স্লোগানে এলো সিনেমা ‘উৎসব’-এর ঘোষণা।
তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন দেশের ১১ জন গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রী।
একবার ভাবুন তো, একই সিনেমায় অভিনয় করছেন আপনার প্রিয় ১১ জন অভিনেতা! তাও আবার, জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা!
হ্যাঁ, এমন একটি অভাবনীয় ঘটনাই ঘটিয়ে ফেলেছেন নির্মাতা তানিম নূর। এদের সবাইকে এক ফ্রেমে হাজির করে নির্মাণ করছেন সিনেমা ‘উৎসব’।
১৩ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিনেমার নাম ঘোষণা এবং শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জানা যায়, সিনেমাটি উৎসবের আমেজে দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তি পাবে।
‘উৎসব’ সিনেমার ঘোষণা ও শিল্পী পরিচয় অনুষ্ঠানে অভিনব লুকে উপস্থিত হন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অনুষ্ঠানস্থলে সবাই প্রবেশ করেন মুখোশ পরে। তবে একসময় তারা মুখোশ খুলে স্বরূপে দেখা দেন।
নির্মাতা তানিম নূর জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার মিলে দেখার মতো একটা সিনেমা বানানোর ইচ্ছা ছিল তার। সেই ইচ্ছা, স্বপ্ন তাড়া করতে গিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘উৎসব’।
অভিনেতা জাহিদ হাসান জানান, দীর্ঘদিন পর ‘উৎসব’ সিনেমায় অনেক শিল্পী মিলে কাজ করেছেন, সেটাই তার কাছে আনন্দের। সিনেমাটি দেখে দর্শকরাও অনেক আনন্দ পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
আফসানা মিমি বলেন, ‘পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ, এই কথাটা আমাকে আন্দোলিত করেছে। কারণ অনেক দিন ধরেই আমরা পরিবার নিয়ে দেখার মতো একটা সিনেমা খুঁজছিলাম।’
অপি করিম বলেন, “সবার সঙ্গে একই সিনেমায় কাজ করার লোভ সংবরণ করতে পারিনি। এই প্রজন্ম আমাদের তো একসঙ্গে কাজ করতে দেখেইনি। তাই ভাবলাম, ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্য দিয়ে দেখুক, আমরা এখনও আছি।”
এই সিনেমার বিষয়বস্তুর কথা মনে হলে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে ইন্তেখাব দিনারের। বলেন, ‘আমি এই সিনেমায় অনেক পরে যুক্ত হয়েছি। তবে পরে যুক্ত করা হলেও আমি নির্মাতাকে ধন্যবাদ জানাই যে, এমন একটা সিনেমায় আমি এত গুণী অভিনয়শিল্পী ও মানুষের সঙ্গে কাজ করছি।’
এছাড়া এত গুণী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটাকে নিজেদের বড় পাওয়া মনে করছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও সাদিয়া আয়মান।
বলা প্রয়োজন, সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট।
উল্লেখ্য, সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও শিমুল হক। ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করেছেন রাশেদ জামান।