মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেয়েছিলেন মোদি: আহমেদাবাদ মিরর

ভারতের আহমেদাবাদ মিরর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথেষ্ট ভালো ছাত্র ছিলেন মোদি। এমনকি মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিও পেয়েছিলেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তথ্য কমিশনারের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা করা হচ্ছিল ওই তথ্যের জন্য।

নরেন্দ্র মোদি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল

আহমেদাবাদ মিররের ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত ছাত্র ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি ১৯৮৩ সালে প্রথম শ্রেণি সহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করেছিলেন। তিনি ৬২.৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। দু’বছরের কোর্সে তার বিষয় ছিল পলিটিক্যাল সায়েন্স, ইউরোপিয়ান পলিটিক্স, ইন্ডিয়ান পলিটিক্স অ্যান্ড অ্যানালিসিস এবং পলিটিক্যাল সাইকোলজি। 

আরও পড়ুন: কানহাইয়াকে কালো পতাকা দেখিয়ে মার খেলেন যুবক, নিন্দা জানালেন কানহাইয়া

মাস্টার্সে মোদির প্রাপ্ত নম্বর

তবে, মোদির স্নাতক স্তরের পড়াশোনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোনও তথ্য নেই। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বিএ পাশ করেন মোদি। তথ্য অধিকার আইনে বারবার আবেদন জানানো হলেও, কোনওবারই মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি প্রধানমন্ত্রী অফিস। দিল্লির এমএন সায়েন্স কলেজ থেকে প্রি-সায়েন্স পাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিমানে কানহাইয়ার গলা চেপে ধরলেন ‘মোদির সমর্থক’

আমদাবাদ মিরর বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সমতুল প্রিসায়েন্স এমএন সায়েন্স কলেজ থেকে পাশ করেছেন বলে জানানো হয়। তবে, ওই কলেজের কাছে অবশ্য এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। মোদি যখন ওই কলেজে পড়েন বলে উল্লেখ করা হয়, সেই সময়েই সেখানে ইনঅরগানিক ক্যামেস্ট্রি বিভাগে এমএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন গুজরাটের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল। নরেন্দ্র মোদি এবং প্যাটেল দুজনেরই রোল নম্বর ছিল ৭১।

নরেন্দ্র মোদি এবং আনন্দীবেন প্যাটেলের রোল নম্বর ৭১

আরও পড়ুন: নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কানহাইয়ার জরিমানা, ওমর-অনির্বাণের বহিষ্কার

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে তথ্য কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচারুলুর কাছে নমোর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত জানতে চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। এরপর শুক্রবার দিল্লি ও গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। কেজরিওয়ালের আবেদন পরে তথ্য অধিকার আইনে গ্রহণ করা হয় এবং আচারুলু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।

/এসএ/