বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করার দিকে জোর দিতে চাই।’ মন্ত্রী আরও বলেন, এজন্য আগাম কোনও গোয়েন্দা তথ্য থাকলে তা সরকারকে জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয়েছে। হামলার পরিকল্পনা আগেভাগে জানতে প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সহযোগিতা দিতে চেয়েছে, আশা করি দেবে।’
আরও পড়ুন: ৩ মাস ধরে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের জঙ্গল, গ্রেফতার ৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে আগাম গোয়েন্দা তথ্য পেতে ইতিমধ্যেই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাহায্য নিচ্ছে সরকার। সরকার সবসময় দাবি করছে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের সাথে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলোর কোনও সম্পর্ক নেই।
সরকারের অবস্থান যখন এটাই, তখন বিদেশিরা কিভাবে আগাম তথ্য দিতে পারে? বিবিসির এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আবারও জোর দিয়েছেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাসীরা ‘হোম গ্রোন’ অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই সৃষ্ট।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশের জঙ্গি ইসলামিদের তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাংলাদেশে তৎপর বলে মার্কিনিদের বদ্ধমূল ধারণা।
সম্প্রতি ঢাকায় দুজন সমকামী অধিকার কর্মী খুন হওয়ার পর, বাংলাদেশে মার্কিন দূত খোলাখুলি বলেছেন, বাংলাদেশের একার পক্ষে পক্ষে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলা সম্ভব নয়।
সৌজন্যে: বিবিসি বাংলা।
/এসএ/