যৌন সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় ১৯ নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করল আইএস!

যৌন সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়ায় ১৯ জন ইয়াজিদি নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। উত্তর ইরাকের মসুল শহরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে এআরএ নামক একটি কুর্দি সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে। প্রায় দু’বছর ধরে শহরটি আইএস-এর দখলে রয়েছে।

আইএস-এর হাতে বন্দি ইয়াজিদি নারী

বৃহস্পতিবার (২ জুন) ওই ১৯ ইয়াজিদি নারীকে একটি লোহার খাঁচায় আটকে রেখে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এক স্থানীয় সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল মাল্লা বলেন, ‘যৌন সম্পর্ক করতে রাজী না হওয়ায় ওই ১৯ জনকে হত্যা করা হয়।’

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটিই প্রকাশ্যে ঘটে। শতাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। ইয়াজিদি নারীদের ওপর আইএস-এর নির্যাতন নতুন কিছু নয়। ইরাকের শিনজার অঞ্চল তাদের দখলে আসার পরে অসংখ্য নারীকে বন্দি করে আইএস। ওই বন্দিদের একাংশকে মসুলে নিয়ে আসা হয়। 

আইএস-এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ইয়াজিদি নারী

এদিকে, ইরাকে ক্রমেই সংকটের শিকার হচ্ছে আইএস। ফালুজায় ইরাকি বাহিনীর হামলায় কোনঠাসা তারা। ইরাকি সরকার জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই ফালুজার পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে আসবে। তবে ফালুজা থেকে সাধারণ নাগরিকদের বের করে আনার জন্যই হামলার মাত্রা কমিয়ে এনেছে ইরাকি বাহিনী। কারণ, ফালুজা থেকে বেরোতে চাইলেই নাগরিকদের হত্যা করছে আইএস। ফালুজার পতন হলে আইএস-এর হাতে রয়ে যাবে শুধু মসুল। ফালুজার পর মসুল দখলের অভিযান শুরু হবে বলেও জানিয়ে রেখেছে ইরাকি সেনাবাহিনী।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

আরও পড়ুন: 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ‘বাজে কথা’: ইসরায়েলি মুখপাত্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন হিলারি

সপ্তম বৈঠকে মোদি-ওবামা, স্বাক্ষর হতে পারে গোয়েন্দা চুক্তি

/এসএ/