চার ইসরায়েলি হত্যাকে ‘বীরত্বপূর্ণ হামলা’ বলছে হামাস





হামলায় আহত এক ইসরায়েলিমধ্য তেল আবিবে চার ইসরায়েলি হত্যার ঘটনাকে বীরত্বপূর্ণ হামলা বলছে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস। তবে এখনও কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনা সদর সফতর সংলগ্ন এলাকায় বন্দুক হামলা চালিয়ে বুধবার রাতে ৪ জনকে হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসরায়েলের দাবি, দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের ইত্তা গ্রাম থেকে এসে এই হামলা চালিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মধ্য তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সামরিক সদর সফতরের কাছেই রয়েছে একটি খোলা বাজার ও রেস্টুরেন্ট এলাকা। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টা ৩০মিনিটের দিকে সেখানেই হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। তখন ব্যস্ততম ওই এলাকার বার ও রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষ অবসর কাটাচ্ছিলো। সে সময় প্রচুর জনসমাগম ছিল বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এখনও পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। পশ্চিমতীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এই হামলাকে অভিনন্দিত করেছে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের ইসলামী সংগঠন হামাস। তবে এই হামলায় তারা জড়িত কিনা, তা স্পষ্ট করে বলেনি সংগঠনটি। এদিকে পশ্চিমতীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ ঘ্টনায় এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
এরইমধ্যে ‘হামলাকারী’দের আটকের পর হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ। এদের একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার সময় ভীত মানুষেরা পালাতে চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতেও দেখা গেছে। ভিডিও ফুটেজে হামলার সময় একটি রেস্টুরেন্টের চেয়ার-টেবিলগুলোকে কেঁপে উঠতেও দেখা যায়।
হামলাস্থলে সন্তানের জন্মদিন পালন করতে আসা এক মা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘হামলার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বুঝতে পেরেছি, এটা একটা সন্ত্রাসী হামলা। কিছু না বুঝেই আমরা দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেছি।’

তেল আবিবের পুলিশ প্রধান চিকো এগ্রি বলছেন, এটি একটি ভয়াবহ হামলা। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, দুই হামলাকারীকে ধরার পর তৃতীয় কোনও হামলাকারী এখন আর ঘটনাস্থলে নেই।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের ব্যাপকতার বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের হামলার প্রবণতা বেড়েছে। সূত্র: বিবিসি
/বিএ/