এদিকে নেজাদের বিতর্কিত এ তত্ত্বের সমালোচনা করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিসটেন্স অব ইরানের সদস্যরা। নেজাদ ইরানে যে ধরনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন তা আইএসের সংস্কৃতির থেকে ভিন্ন কিছু নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
শুক্রবার ইসফাহানে জুমার নামাজের খুতবায় সাইয়্যেদ ইউসুফ তাবাতাবি নেজাদ বলেন, ‘আমার অফিসে ওইদিন কিছু ছবি এসেছে। সেগুলোতে দেখা গেছে জায়ানদেহ-রুদ নদীর তীরে দাঁড়িয়ে নারীরা ছবি তুলছেন। তাদেরকে দেখে ইউরোপীয় বলে মনে হয়েছে। আর এ ধরনের কার্যকলাপের কারণেই এ নদীটি শুকিয়ে গেছে।’
ইরানে কথিত নৈতিকতা রক্ষাকারী পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পর নেজাদের বিতর্কিত মন্তব্যটি আসলো। যথাযথভাবে যারা পর্দা করতে ব্যর্থ হন, যারা গাড়িতে খুব জোরে গান শোনেন কিংবা কেউ অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড করছে বলে কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হলে তাদের আটক করা এ নৈতিক পুলিশের কাজ।
'অশোভন' পোশাকধারীদের আটকের আহ্বান জানিয়ে নেজাদ বলেন ‘আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন অশোভন পোশাক পরিধানে উসকানিদাতাদের ওপর ধরপাকড় চালায়। আপনারা যদি তা না করেন তবে নিজেদের দায়িত্ব পালনে আপনারা ব্যর্থ হবেন। এসব উসকানিদাতাকে শনাক্ত করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় তাদের শ্বাসরোধ করতে পারে। হিজবুল্লাহ বাহিনীর সহায়তায় পুলিশ বাহিনী এ অভিযান চালাতে পারে।’
এদিকে নেজাদের এ মন্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিসটেন্স অব ইরানের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। কমিটির সদস্য আফচাইন আলাভি বলেন, এ ধরনের বক্তব্যে মধ্য দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সংস্কৃতিকেই প্রতিফলিত করছেন নেজাদ।তিনি বলেন, ‘এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো নারী-বিদ্বেষ।’
উল্লেখ্য, এর আগেও নারী ও নারীর পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নেজাদ। ইরান ওয়ারের খবর অনুযায়ী, পুরুষরা যখন কাজ করে তখন নারীদের বাড়িতে থাকা উচিত বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এছাড়া যেসব নারী দেশের পোশাকের বিধি মেনে চলবে না তাদের প্রতি সহিংস হওয়াটা মার্জনীয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট
/এফইউ/