ব্রিটিশ গণভোটে ‘লিভ পক্ষ’ বিজয়ী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার রায়


লিভ পক্ষের সমর্থকদের উল্লাসরক্ষণশীলদের মধ্যেও একটি অংশ ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষে। তবে শেষ পর্যন্ত কট্টর জাতীয়তাবোধের প্রতিই আস্থা রাখলো ব্রিটিশ জনতা। গণভোটে বিজয়ী হলো লিভ পক্ষ। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে যুক্তরাজ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ৪৩ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটতে যাচ্ছে গণভোটের ফলাফলের মধ্য দিয়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এরইমধ্যে ইইউ ছাড়ার পক্ষ (লিভ) প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট নিশ্চিত করেছে।
জয়ের জন্য ১ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ভোট প্রয়োজন ছিল। লিভ পক্ষ ১ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪২ ভোট নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ 'লিভ' পক্ষ পেয়েছে ৫১.৯ শতাংশ ভোট। আর রিমেইন পক্ষ পেয়েছে ৪৯.১ শতাংশ ভোট। এদিকে জনগণের রায়ে উল্লাস প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষের নেতারা দিনটিকে উল্লেখ করছেন যুক্তরাজ্যের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে।
সুন্দারল্যান্ডের ফলাফলের পর লিভ সমর্থকরা উল্লাস করছেন
ঐতিহাসিক এই গণভোটে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি স্পেন উপকূলের অদূরের ব্রিটিশ শাসিত ক্ষুদ্র ভূখণ্ড জিব্রাল্টারের অধিবাসীরাও তাদের রায় দিয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৭০ শতাংশ।
লন্ডনের বাইরে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট পায়নি ‘রিমেইন’ বা ইইউতে থাকার পক্ষ। লন্ডন, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ভোটাররা অবশ্য ‘রিমেইন’কেই সমর্থন জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের মতো করে এ গণভোটে এলাকাগুলোর ভোট এককভাবে গণনা করা হয়নি। ভোট গণনার জন্য স্থানীয়ভাবে ৩৮২টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এ গণনা কেন্দ্রগুলো ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও জিব্রাল্টারের ৩৮০টি স্থানীয় সরকারের সবগুলোকেই প্রতিনিধিত্ব করছে। ১১টি আঞ্চলিক ভোট গণনা কেন্দ্রে স্বতন্ত্র এলাকাগুলোর ফলাফল জমা করে সেখান থেকে চূড়ান্ত ফল হিসেব করা হয়। চিফ কাউন্টিং অফিসার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন

/এফইউ/বিএ/