ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের পদত্যাগের ঘোষণা

ক্যামেরনব্রিটিশ জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকার পক্ষে রায় দেওয়ার পর সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আসছে অক্টোবরের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নং ড্রাউনিং স্ট্রিটে  গণভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ জনগণের জন্য এখন নতুন নেতৃত্ব দরকার। যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালনকে গৌরবের মন্তব্য করে আবেগাক্রান্ত ক্যামেরন বলেন, এই ‘জাহাজ এখন একজন নতুন নাবিকে'র জন্য অপেক্ষা করছে। আসছে অক্টোবরের দলীয় সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রী খুজেঁ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গণভোটের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি 'রিমেইন' (ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষে যারা) পক্ষে থাকার বিষয়টি উল্লে করেন। পাশাপাশি বলেন, 'কখনও কখনও সময় আসে জনগণকে জিজ্ঞেস করার, তারা কী চায়? তাদের ইচ্ছার প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে।'

গণভোটের রায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিপক্ষে যাওয়ার পর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন; যিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। ‘রিমেইন’ পক্ষের আরেক প্রচারক লেবার নেতা জেরেমি করবিনও নীরব রয়েছেন। যদিও ‘লিভ পক্ষ’ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। কেউ কেউ একে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা দিবস বলতেও ছাড়েননি।
বৃহস্পতিবার ক্যামেরন আর তার স্ত্রীকে একটি পোলিং স্টেশনে ভোট দিতে দেখা যায়। এরপর থেকেই আর তার দেখা মেলেনি। এমনকী সামাজিক মাধ্যমেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তার। ‘রিমেইন’ পক্ষের ভোটাররা তাই টুইটারে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘কোথায় ক্যামেরন’।
উল্লেখ্য, ইইউ’র পক্ষে থাকা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনেরও পদত্যাগ দাবি করছেন অনেকেই। ছায়া সংসদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বেন এই গণভোটের জন্য ক্যামেরনকে দায়ী করে বলেছেন, “সেই এ গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই গণভোটে পরাজিত হওয়ার পর তার দায়িত্বে থাকাটা আমাকে অবাক করবে।” তবে কনজারভেটিব পার্টির ৮৪জন এমপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ‘ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলেও’ তাকেই প্রধানমন্ত্রী থাকার অনুরোধ করেছেন।সূত্র: বিবিসি

/এফইউ/বিএ/