প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের একটি রেস্তোরাঁয় শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন। এছাড়া পুলিশসহ আহত হন অর্ধশত। ওই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক এখনও জিম্মি হয়ে আছেন বলে জানা যায়। সে সময় জিম্মি অবস্থায় থাকা মানুষদের উদ্ধারে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হয়।তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে কমান্ডো অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়।
সেই কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসানের পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টুইট বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই মুখপাত্র বলেন, ‘উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ২ নাগরিক রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনের কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারা অক্ষত ও নিরাপদে আছেন।’
এদিকে শ্রীলঙ্কান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কলম্বো পেজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবস্থিত শ্রীলঙ্কান দূতাবাস উদ্ধার হওয়া ওই দুইজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী বলে জানায় পররাষ্ট্র দফতর। তারা জানায়, ওই দুই শ্রীলঙ্কান নাগরিক এখন শঙ্কামুক্ত। তারপরও তাদের অন্য উদ্ধারকৃতদের পাশাপাশি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সকালে অভিযান শুরুর পর ৭টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত একটানা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তিন মিনিট পর ৭টা ৫৮ ও ৮টা ৯মিনিটে গুলির শব্দ শোনা যায়। ৮টা ১২ মিনিটে আবারও বিকট শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলি চলে ৮টা ২০ পর্যন্ত। উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃতদেহ এবং নারী ও শিশুসহ ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ পাওয়া গেছে ৫টি। পরে অবশ্য ২০টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সেনা সদর দফতর।
সূত্র: কলম্বো পেজ, টুইটার
/বিএ/