দক্ষিণ সুদানে সহিংসতায় নিহত ৩০০, সংঘাত বন্ধের আহবান জাতিসংঘের

দক্ষিণ সুদানে নতুন করে শুরু হওয়া লড়াইয়ে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক, একজন চীনা শান্তিরক্ষীও নিহত হয়েছে। সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে সেটি বন্ধ করতে আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল।

রাজধানী জুবায় এখন অস্ত্রের মহড়া

দক্ষিণ সুদানে শুক্রবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী এবং প্রথম উপরাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং জাতিসংঘ ক্যাম্পের কাছে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাত যাতে আরো ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক সর্বসম্মত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

ওই বিবৃতিতে দক্ষিণ সুদানে সংঘাতের নিন্দা জানানো হয়েছে। সে অঞ্চলে আরো জাতিসংঘ নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচার-এর অনুগত সৈন্যরা পরস্পরকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু করলে এ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে

২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভের পর প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে। গৃহযুদ্ধ শেষ হবার পরেও এ দুজনের মধ্যে চরম অবিশ্বাস ও আস্থার সংকট দেখা যাচ্ছে।

শুক্রবার শুরু হওয়া সংঘাতে ট্যাংকসহ আরও নানা ধরনের ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়।

রাজধানী জুবায় জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সংঘাতের কারণে শত-শত মানুষ ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে জাতিসংঘ পরিচালিত দপ্তরগুলোর প্রাঙ্গণে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ সুদানের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজধানী জুবার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। যেসব বেসামরিক মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে তাদের বাড়িতে ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।

/এসএ/