মিউনিখ হামলাকারীর আফগান বন্ধু গ্রেফতার

জার্মানির মিউনিখ শহরে অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে বন্দুক হামলাকারী ডেভিড আলী সোনবলির এক আফগান বন্ধুকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই হামলায় নয় জনকে হত্যা করার পর সোনবলি আত্মহত্যা করে।

ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রবিবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা সন্দেহ করছি, ১৬ বছরের ওই আফগান তরুণ হামলার বিষয়ে আগে থেকেই জানত।’ সব জেনেও সে পুলিশকে কিছু জানায়নি। মিউনিখ হামলায় ওই আফগান তরুণের কোনও সংযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে মিউনিখের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ওই তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ডেভিড আলী সোনবলি

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার ওই তরুণ নিজ থেকেই পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সোনবলির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানিয়েছিল। শনিবার পুলিশের তদন্তে তার বক্তব্যের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বিবৃতিতে পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা এমন অপরাধ রুখতে সব রকমের চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় দিকে মিউনিখের একটি রেস্টুরেন্ট ও শপিং সেন্টারে বন্দুক হামলা চালায় ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক ডেভিড আলী সোনবলি। ১৮ বছরের ওই তরুণের জন্মও মিউনিখেই। ওই হামলায় নয় জনকে হত্যা করার পর সোনবলি আত্মহত্যা করে। হামলায় আহতের সংখ্যা ৩৫। এর মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, বাকিরা দৌড়ে পালানোর সময় আহত হন। হামলায় ব্যবহৃত পিস্তলটি সোনবলি ইন্টারনেটে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে কিনেছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।  

নিহতদের স্মরণ করছে মিউনিখ

পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর কোনও সংযোগ নেই। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ২০১১ সালে নরওয়েতে গুলি করে ৭৭ জনকে হত্যা করা নাৎসি মতাদর্শ ধারণ করা আন্দ্রেজ বেহরিং ব্রেইভিক দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল সোনবলি। মিউনিখ হামলার ঠিক পাঁচ বছর আগে একইদিনে ব্রেইভিক নরওয়েতে ওই হামলা চালিয়েছিল। জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান জানিয়েছেন, সোনবলির কম্পিউটার থেকে ব্রেইভিকের ইশতেহারের সফটকপিও পাওয়া গেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে, বিবিসি।

/এসএ/