রুশ মিসাইলের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয় এমএইচ১৭: তদন্ত কমিটি

nonameবাক মিসাইল-এর আঘাতেই পূর্ব ইউক্রেনের আকাশসীমা থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েছিল মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ১৭। রাশিয়া থেকে আনা ওই মিসাইলটি ছোড়া হয়েছিল পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে। এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্বাধীন এ যৌথ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলাজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা যৌথভাবে এ তদন্তকাজ পরিচালনা করেন।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ যৌথ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন নেদারল্যান্ডসের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান উইলবার্ট পলিসেন। তিনি জানান, যাত্রীবাহী বিমানটি যে রাশিয়ার তৈরি বাক মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল সে বিষয়ে তাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশকালে সেখানে ভিড় করেন নেদারল্যান্ডসের প্রসিকিউটররা। তারা এ ঘটনার একটি সম্ভাব্য ফৌজদারী বিচারের জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

এর আগে গত জুনে এমএইচ১৭ ভূপাতিত করার ঘটনায় তথ্য সরবরাহের জন্য রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার সুপারিশ করেন নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্বাধীন এ যৌথ তদন্ত টিমের প্রসিকিউটররা।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে ইউক্রেনে এমএইচ১৭ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি ইউক্রেন সরকার ও দেশটির রুশপন্থী বিদ্রোহীদের মধ্যকার বিবাদপূর্ণ এলাকা।

এ ঘটনার জন্য পূর্বাঞ্চলের রুশপন্থী বিদ্রোহীর দায়ী করে থাকে ইউক্রেন সরকার ও পশ্চিমারা। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীই বিমানটি ভূপাতিত করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ঘটনার তদন্তে নামেন নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্বাধীন প্রসিকিউটররা। তবে বাক মিসাইলের ব্যাপারে রাশিয়ার কাছ থেকে তথ্য চেয়েও তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক পরীক্ষাসহ কয়েকটি ইস্যুতে ধারণার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে বলে জানান প্রসিকিউটররা।

বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের বেশ কয়েকজনের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসে রাশিয়া এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চলছে। গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট নিউজ.কম-এ বলা হয়, যাত্রীর জীবনের অধিকার ক্ষুণ্ন করার দায়ে মামলাটি চলছে। বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

/এমপি/বিএ/