তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে ফ্রিজ-এসিতে এইচএফসি ব্যবহার বন্ধের 'ঐতিহাসিক' চুক্তি

nonameসাধারণ ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারে (এসি) এইচএফসি বা হাইড্রোফ্লোরোকার্বন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। তবে এ রাসায়নিকের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য শনিবার একটি বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। বিশ্বের ১৭০টিরও অধিক দেশ এই 'ঐতিহাসিক' চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে।

এ চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি ঠাণ্ডা করার কাজে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার অনেক কমে যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই এইচএফসি একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস হিসেবে কার্বন ডাইঅক্সাইডের চাইতে কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। এর উচ্ছেদ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে এই ঐকমত্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, এটি সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে এক বিরাট পদক্ষেপ।

এই চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী দেশগুলো আগামী তিন বছরের মধ্যে এইচএফসি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা শুরু করবে। তবে অপেক্ষাকৃত কম উন্নত দেশগুলোকে ১৬ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন ও ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলো ২০২৪ সাল থেকে এবং ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও উপসাগরীয় দেশগুলো ২০২৮ সালের পর থেকে এইচএফসি ব্যবহার কাটছাঁট করতে শুরু করবে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এর ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডল থেকে ৭০০০ কোটি টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমপরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস অপসারণ করা যাবে। তবে এ চুক্তির সমালোচনাকারী পরিবেশবাদীরা বলেছেন, এতে যথেষ্ট কড়াকড়ি করা হয়নি।

তাদের মতে, এতে ভারত ও চীনকে বেশি ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে এর প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আধা ডিগ্রি তাপমাত্রা কমানোর লক্ষ্য অর্জিত না-ও হতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

/এমপি/