মসুল পুনরুদ্ধারে ইরাকি ও কুর্দি বাহিনীর লড়াই শুরু



nonameআইএস জঙ্গিদের দখল থেকে ইরাকের মসুল শহর পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ইরাকের সেনাবাহিনী ও দেশটির কুর্দিপন্থী গেরিলারাও এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। সোমবার ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরী আইএসের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছিল। ২০১৪ সালের জুন মাসে জঙ্গিদের হাতে নগরীটির পতন হয়।

টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজয়ের মুহূর্ত অত্যাসন্ন। মসুল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। আজ আমি দায়েশের (আইএস) সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ থেকে আপনাদের মুক্ত করার অভিযান শুরু করার কথা ঘোষণা করছি। অভিযানে নেতৃত্ব দেবে সাহসী ইরাকি সেনাবাহিনী ও জাতীয় পুলিশ।”

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী এবাদি একাধিকবার বলেছেন, মসুল পুনরুদ্ধার অভিযানে ইরাকি সেনারা অংশ নেবে। কোনও বিদেশি সেনা সেখানে থাকবে না। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনারা অভিযানকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নেইনাভা প্রদেশের রাজধানী মসুল পুনর্দখলের ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য গত আগেস্ট নগরী থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কৌশলগত কাইয়ারা শহর দখল করে সরকারি বাহিনী। ইরাকে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হায়দার ফাজলি বলেছেন, মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযানে অন্তত ২৫ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে।

ইরাকে মসুল হচ্ছে আইএসের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। এই নগরী দখলের পরই আইএস-এর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল। কর্মকর্তারা বলছেন, যদি মসুল থেকে আইএসকে পরাজিত করা সম্ভব হয় তাহলে তা হবে আইএসের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইনশাআল্লাহ দায়েশের হাত থেকে আপনাদের মুক্তি উদযাপন করতে আমরা শিগগিরই মসুলে মিলিত হবো। সব ধর্মের মানুষ মিলে দায়েশকে পরাজিত করে আমরা প্রিয় শহর মসুলের পুনর্গঠন করবো।”

এদিকে এই লড়াইয়ের মানবিক প্রভাব ব্যাপক হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, এতে অন্তত ১ দশমিক ২ মিলিয়ন বা ১২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

/এমপি/