বুধবার হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যকার চূড়ান্ত বিতর্কটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ফক্স নিউজের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেস। প্রথম দুই বিতর্কের মতোই ট্রাম্প আর হিলারিকে পরস্পরের প্রতি আক্রমণাত্মক রূপে দেখা গেছে। বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্পের বিভিন্ন যৌন কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। যেসব নারী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন তাদের অভিযোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন ট্রাম্প। হিলারির প্রচারণা শিবির থেকেই ওইসব নারীদের উসকানি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নারী নিপীড়নের অভিযোগগুলো অস্বীকার করে হিলারি বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা, কল্পনাপ্রসূত’।
হিলারি অবশ্য ট্রাম্পের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘ডোনাল্ড ভাবেন নারীদেরকে হেয় করে তিনি বড় হয়ে যাবেন। তিনি নারীদের আত্মমর্যাদাকে আঘাত করে কথা বলেন। আমি মনে করি না সে আঘাত বুঝতে পারেন না এমন কোনও নারী কোথাও আছেন। আমরা এখন জানি ডোনাল্ড ট্রাম্প কী ভাবেন এবং নারীদের প্রতি কেমন আচরণ করেন। যোনাল্ড ট্রাম্প এমনই।’
জবাবে ট্রাম্প বলেন ওঠেন, ‘আমি নারীদেরকে যতটা সম্মান করি ততটা সম্মান আর কেউ করতে পারে না। কেউ না।’ তবে পরবর্তী বাক্যতে যাওয়ার আগেই বিতর্কস্থলে উপস্থিত দর্শকরা হেসে ওঠেন। এমন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন সঞ্চালক ওয়ালেস। ‘প্লিজ এভরিবডি’ বলে সবাইকে থামতে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য,১১ বছর আগে দেওয়া একটি নারীবিদ্বেষী বক্তব্য গত ৭ অক্টোবর ফাঁস হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। ২০০৫ সালে ধারণ করা অডিও সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ফাঁস করে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি-র উপস্থাপক বিলি বুশকে টেলিফোনে ওই ‘বিতর্কিত’ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। ফাঁস হওয়া অডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারকারা নারীদের নিয়ে যা খুশী করতে পারে আর এতে ওই নারীরাও বাধা দেবে না।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তার আগ্রহের কথাও জানান। মিস ইউনিভার্সসহ কয়েকটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক ট্রাম্প সুন্দরী নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আকাঙ্ক্ষাও জানিয়েছিলেন। সেই অডিও ফাঁসের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী নতুন নতুন অভিযোগ প্রকাশ করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
/এফইউ/