আন্তর্জাতিক আদালত ছাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা

ওমর আল বশিরআনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) ছাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও শুরু করেছে দেশটি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নথির কপিও প্রকাশিত হয়েছে। মূলত সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির-এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকালে তাকে গ্রেফতার না করার ঘটনায় আইসিসি-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বন্দ্বের জেরে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশটি।

শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারমন্ত্রী মাইকেল মাচুথা। তিনি বলেন, শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রত্যাহারের একটি একটি পার্লামেন্টে তোলা হবে।

আফ্রিকা ইউনিয়নের সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই সফরে গিয়েছিলেন সুদানের প্রেসিডেন্ট। এ সময় তাকে গ্রেফতাকে আহ্বান জানায় আইসিসি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সুদানের প্রেসিডেন্টের ভালো সম্পর্ক থাকায় আইসিসি’র আহ্বানে সাড়া দেয়নি দেশটি। এ নিয়ে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার আদালতে রিট করলে সরকার ও আদালতের মধ্যে শুরু হয় আইনি বিতর্ক। কারণ আইসিসি সদস্য হওয়ার ফলে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে গ্রেফতারের দায় দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তায়। কিন্তু তারপরও তারা আইসিসি’র আহ্বানে কর্ণপাত করেনি; যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এড়াতে আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। এরইমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০০২ সালে ১২৪ জন সদস্য দেশ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)। পৃথিবীতে এটিই এ ধরনের একমাত্র বিচার প্রতিষ্ঠান। এই আদালতে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মত অভিযোগের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। সম্প্রতি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ আইসিসি  থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে কেনিয়া, বুরুন্ডি, নামিবিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সরকার মনে করে, আইসিসি আফ্রিকা মহাদেশের জনগণের সঙ্গে একপেশে আচরণ করছে। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/