শরণার্থী নৌকায় ‘লিবিয়ান কোস্টগার্ড’র হামলা, বহু প্রাণহানির শঙ্কা

libya-boat-rescue

ভূমধ্যসাগরে একটি শরণার্থী বোঝাই নৌকায় হামলা চালিয়েছে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি। লিবিয়ান কোস্টগার্ডের সজ্জায় একটি নৌকা থেকে এই হামলা চালানো হয়। এতে এরইমধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও অন্তত ২০ শরণার্থী নিহত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

সি ওয়াচ নামের একটি জার্মান সংস্থা জানিয়েছে, ইটালিয়ান কোস্টগার্ড এই শরণার্থী ডিঙ্গিটি শনাক্ত করে। লিবিয়ার কোস্টগার্ডের পোশাকে এবং তাদের নৌকা দিয়ে এই হামলা চালানো হলেও এটা লিবিয়ার হামলা কিনা নিশ্চিত নয়।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করেনি লিবিয়ার দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ কর্তৃপক্ষ।  

 সি ওয়াচ আরও জানায়, রবারের ডিঙ্গিভর্তি ছিলেন ১৫০ শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী। তাদের জন্য স্পিড বোটে করে লাইফ জ্যাকেট পাঠানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে লিবিয়ার জাতীয় কোস্টগার্ডের সশস্ত্র সদস্যদের পোশাকে সেখানে হামলা চালানো হয়।

সি ওয়াচের এক মুখপাত্র বলেন, ‘তারা শরণার্থী নৌকায় সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দেয় এবং নৌকায় থাকা মানুষদের আঘাত করে। এতে নৌকার যাত্রী ভীত ও হতবিহবল হয়ে পড়ে। এ সময় রবারের নৌকার একটি টিউব ফেটে যায় এবং বেশিরভাগ যাত্রী পানিতে পড়ে যান।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা তাদের অনেককেই উদ্ধার করতে পারলেও অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ 

এ প্রসঙ্গে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সি ওয়াচ জানায়, লিবিয়ান কোস্টগার্ডের এই হামলা কেবল উদ্ধার কার্যক্রমই ব্যাহত করেনি বরং প্রচুর প্রাণহানিরও কারণ হয়েছে। তারা কেন এমনটা করেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানাই, কেননা এতে মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।’  

ইইউয়ের পাচার বিরোধী অভিযানের পক্ষে যে সকল রাষ্ট্র রয়েছে, ব্রিটেনও তার মধ্যে একটি। ব্রিটেন লিবিয়ান কোস্টগার্ড ও নৌ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। অপারেশন সোফিয়া মিশনের আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তবে ওই সশস্ত্র হামলাকারীরা আদৌ লিবিয়ান কোস্টগার্ডের সদস্য নাকি তারা কোস্টগার্ডের নৌকা চুরি করেছিলো  সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট হওয়া সম্ভব হয়নি। 

/ইউআর/বিএ/