মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে যা করতে চান ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করার প্রথম ১০০ দিনের একটি কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। এক নির্বাচনি প্রচারণায় এই পরিকল্পনার কথা বলেন ট্রাম্প।

পেনসিলভ্যানিয়ায় ট্রাম্প

নির্বাচনের যখন মাত্র ১৭ দিন বাকি, তখনও রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট প্রচারণা শিবির ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়েই মেতে আছে। এরই মধ্যে পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যের গেটিসবার্গে নির্বাচনি প্রচারণায় দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারলে তার প্রথম ১০০ দিনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। সেখানে লবিস্টদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়াও বাণিজ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চুক্তির নিয়ে নতুন মাত্রায় আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনি উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহে তাদের প্রচারণার মূল লক্ষ্য থাকবে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করলে কোন কোন কাজ করবেন, তা সামনে তুলে ধরা।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর তার প্রাথমিক কাজ হবে লবিস্টদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। সাবেক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারাই লবিস্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। কংগ্রেস সদস্যদের মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে। জাতিসংঘের পরিবর্তন কর্মকাণ্ডে দেওয়া অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা হবে এবং সেই অর্থ মার্কিন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২০ লাখ ‘অপরাধী এবং অবৈধ অভিবাসীকে’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সেই সঙ্গে যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে না, তাদের ক্ষেত্রে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ বন্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মার্কিন জনগণকে অস্থিতিশীল এবং ভঙ্গুর রাজনীতির ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে বৃহৎ বিশ্বাস এবং আশাবাদকে বুকে টেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যা মার্কিন চরিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য। আমি আপনাদের বৃহৎ স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’  

ট্রাম্পের এই বক্তব্যটিকেই তার কাজ সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তারিত অবস্থান বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে তিনি নির্বাচনে প্রার্থিতা, নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও বাণিজ্য – এ সবকিছু নিয়েই বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।   

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর মালিকানাধীন টাইম ওয়ার্নার কোম্পানিকে এটিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশনের কিনে নেওয়ার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে সংবাদমাধ্যম শিল্পগোষ্ঠীর আধিপত্য ভেঙে দেবেন।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যম তার বিরুদ্ধে সাজানো খবর প্রকাশ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সংবাদমাধ্যমের কর্মকাণ্ডকে তিনি ‘বিপজ্জনক’ বলেও মন্তব্য করেন।  

তবে এই কথাগুলো তার মূল বক্তব্যে নেই। আর তা এই রিপাবলিকান প্রার্থী নীতি হিসেবে গ্রহণকরবেন কিনা, তাও নিশ্চিত নয়।

ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা নারীরা মিথে বলেছেন এবং তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।

৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/