বর্ণবাদের অভিযোগ এনে এবার আন্তর্জাতিক আদালত ছাড়ার ঘোষণা গাম্বিয়ার

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতদক্ষিণ আফ্রিকা ও বুরুন্ডির পর এবার আরেক আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে সদস্য পদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। হেগভিত্তিক এ আদালতের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয় দেশটি। এর আগে চলতি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও বুরুন্ডি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তাছাড়া নামিবিয়া এবং কেনিয়াও আইসিসি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ১২৪ জন সদস্য দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গঠিত হয়। এই আদালতে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মত অভিযোগের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আফ্রিকার প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রদর্শনের অভিযোগ উঠে আসছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ারও অভিযোগ জানিয়ে আসছে আফ্রিকান দেশগুলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনও তা অনুমোদন না করায় আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সরকার মনে করে,আইসিসি আফ্রিকা মহাদেশের জনগণের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছে। সম্প্রতি আইসিসির আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ আইসিসি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আইসিসি ছাড়ার ঘোষণা দিল গাম্বিয়া। এদিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গাম্বিয়ার তথ্যমন্ত্রী শেরিফ বোজাং অভিযোগ করেন, এ আদালত কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের প্রতি বিশেষ করে তাদের নেতাদের প্রতি নিপীড়নমূলক আচরণ করে এবং পশ্চিমাদের অপরাধগুলোকে আইসিসি এড়িয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিচারের প্রসঙ্গটি টেনে আনেন বোজাং। ইরাক যুদ্ধে ভূমিকা পালনের জন্য তার বিচার করতে রাজি না হওয়ায় অপরাধ আদালতের প্রতি ক্ষোভ জানান তিনি। বোজাং বলেন, ‘অনেক পশ্চিমা দেশ আছে, হিসেব করলে ৩০টির মতো হবে যারা আইসিসি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন স্বাধীন রাষ্ট্র ও জাতির বিরুদ্ধে ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। অথচ এখন পর্যন্ত একটি পশ্চিমা দেশকেও অভিযুক্ত করা হয়নি।’


সূত্র: আল জাজিরা

/এফইউ/