আফগানিস্তানের মার্কিন ঘাঁটিতে তালেবানের হামলা, নিহত ৪

বারগামকে বারবার লক্ষ্যবস্তু বানাতে চেয়েছে তালেবানআফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিস্ফোরণে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তালেবান।

স্থানীয় জেলা গভর্নর হাজি শুকরের বরাত দিয়ে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি। ন্যাটোর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাও হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তবে হতাহতরা কে কোন দেশের নাগরিক, তা জানানো হয়নি।

ন্যাটোর বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  শনিবার সন্ধ্যায় কাবুলের উত্তরে অবস্থিত বাগরামের সুরক্ষিত মার্কিন বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়।  শীতের শুরুতে তালেবান যখন পশ্চিমা লক্ষবস্তুতে হামলার গতি বাড়িয়েছে, ঠিক তখন এই হামলা হলো।

সামরিক জোট ন্যাটোর এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতির সূত্র দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, ‘বাগরাম বিমানঘাঁটিতে এক বিস্ফোরণে বেশকিছু মানুষ হতাহত হয়েছে। এতে ৪ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন।’

তালেবানের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের একজন আত্মঘাতী হামলাকারী এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তালেবানের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিবিসিকে বলেছেন, বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে বিমানঘাঁটির ডাইনিং এরিয়াতে (যেখানে খাবার খাওয়া হয়)। এতে মার্কিন বাহিনীতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

আলজাজিরা লিখেছে, সামরিক জোট ন্যাটো আফগানিস্তানে সমন্বিত অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার দুই বছর পর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের এইসব ঘটনা সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভয়াবহ দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে। আফগানিস্তানে এখনও ১০,০০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। এদের একটা বড় অংশ রয়েছে বাগরামের বিমানঘাঁটিতে।

গত বৃহস্পতিবার উত্তরের শহর মাজার-ই-শরীফে বিস্ফোরক-বোঝাই এক লরি নিয়ে জার্মান কনস্যুলেটে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ১২৮ জন।

গত বছর ডিসেম্বরে এক তালেবান আত্মঘাতী হামলাকারী আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন। ২০১৫ সালে এটি ছিল বিদেশি সেনাদের ওপর হামলার বড় ঘটনাগুলোর অন্যতম।   

/বিএ/