বাংলাদেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করবে ইউনিসেফ

ইউনিসেফ ইনোভ্যাশন ফান্ডএকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দেশের পাঁচটি স্টার্টআপকে অর্থায়নের জন্য বেছে নিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ওপেন সোর্সে এবারই প্রথম বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার ইউনিসেফ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনোভ্যাশন ফান্ড কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশি স্টার্টআপ এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-কে অর্থায়ন করছে সংস্থাটি। এমপাওয়ার মা ও শিশু পরিচর্যায় তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া উন্নত করতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবে।
ইউনিসেফ-এর অফিস অব ইনোভ্যাশনের পরিচালক সিন্থিয়া ম্যাকাফ্রে বলেন, ‘ইউনিসেফ-এর ইনোভ্যাশন ফান্ড হলো জাতিসংঘের এক নতুন ধারার ব্যবসা। এখানে সিলিকন ভ্যালির মতোই বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে তা করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে জারি থাকা ইউনিসেফ-এর কার্যক্রমের আওতায়।’
পরিবহন, শনাক্তকরণ, পরিধেয় প্রযুক্তি, আর্থিক ও ব্যক্তিগত তথ্য বিষয়ক সমাধানের ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা প্রয়োগের জন্য ইউনিসেফ-এর ইনোভ্যাশন ফান্ড থেকে অর্থায়ন করা হয়।  
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এমপাওয়ারের সঙ্গে বিশ্বের আরও যে চারটি স্টার্টআপ ইউনিসেফ-এর অর্থায়ন পাচ্ছে, তারা হলো – নিকারাগুয়ার সাইসেল, দক্ষিণ আফ্রিকার ৯নিডস, পাকিস্তানের পভার্টি অ্যালিভিয়েশন ল্যাব এবং কম্বোডিয়ার চ্যাটারবক্স।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ঢাকাভিত্তিক এমপাওয়ার-কে ইনোভ্যাশন ফান্ড থেকে দেওয়া বিনিয়োগের ফলে তাদের ওপেনএসআরপি (ওপেন সোর্স রেজিস্ট্রি প্ল্যাটফর্ম) পাইলট প্রকল্প দেশের বিভিন্ন স্থানে করা সম্ভব হবে। তা তথ্য সংগ্রহকে উন্নত করবে এবং মা ও শিশুর নিয়মিত পরিচর্যায় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।

তথ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা এবং কার্যক্রমের প্রতিবেদন এক জায়গায় নথিভুক্ত থাকার ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুদের টিকা দান কর্মসূচি এবং প্রসূতি মায়ের পরিচর্যার বিস্তার ঘটাতে পারবেন বলেও ইউনিসেফ আশা করছে।

ম্যাকাফ্রে বলেন, ‘ইউনিসেফ-এর এই বিনিয়োগ সেসব প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করবে, যাদের গতানুগতিক বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় হয়ত এড়িয়ে যাওয়া হতো। এই বিনিয়োগের ফলে আমরা যেমন প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যার প্রাথমিক সমাধান দিতে পারছি, তেমনি শিশুদের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য ওপেন সোর্সে আমাদের নেটওয়ার্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

/এসএ/