ওবামার গ্রিস সফরে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গ্রিস সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে কমিউনিস্ট ও অ্যানার্কিস্টদের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।

ওবামার গ্রিস সফরে বিক্ষোভ

মঙ্গলবার ওবামা তার সর্বশেষ বিদেশ সফরে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছান। ওবামার এই সফরকে কেন্দ্র করে রাতে বিক্ষোভ করে গ্রিসের কয়েকটি কমিউনিস্ট ও অ্যানার্কিস্ট গ্রুপ।

রাতে ওবামা যেখানে অবস্থান করছিলেন, তার কয়েক কিলোমিটার দূরে বিক্ষোভকারীরা তাকে ‘সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতিনিধি’ এবং ‘অনাহুত’ বলে উল্লেখ করেন। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো, আইএমএফ এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা দুটি দীর্ঘ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ প্রায় আট হাজার মানুষ অংশ নেন।

ওবামার গ্রিস সফরে বিক্ষোভ

এথেন্স পুলিশের এক মুখপাত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, গ্রিসের কমিউনিস্ট পার্টির লেবার ইউনিয়নের (পিএএমই) নেতৃত্বে একটি মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। তবে দ্বিতীয় মিছিলটি পুলিশের ঘেরাও ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেশটা করলে তাতে পুলিশ বাধা দেয়। ওই মিছিল থেকে দুটি মলোটভ ককটেল (পেট্রোল বোমা) ছোড়া হয়। তখনই সংঘর্ষ বাঁধে।’

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্র্যানেড চালায় এবং লাঠি চার্জ করে। পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় ১৫০ অ্যানার্কিস্ট সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।  

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের হামলার মুখে এথেন্স পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। এই ক্যাম্পাসটি অ্যানার্কিস্টদের নিরাপদ আশ্রয় বলে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমতি ছাড়া এই ক্যাম্পাসে পুলিশের ঢোকা নিষিদ্ধ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষে কেউ আহত হয়নি। তবে অন্তত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের একাংশ

বুধবার বারাক ওবামা চলে যাওয়ার আগপর্যন্ত এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং এথেন্সের কেন্দ্রস্থলে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।

১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ফুঁসে উঠা ছাত্র আন্দোলনে তৎকালীন মার্কিন সমর্থিত সামরিক জান্তা সরকার ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়। ১৭ নভেম্বর এথেন্স পলিটেকনিকে ঢুকে সেনাবাহিনী অগণিত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের হত্যা করে। ওই হামলার স্মরণে প্রতিবছর ১৭ নভেম্বর বামপন্থীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স।

/এসএ/