এরদোয়ানের তুরস্ক

বিয়ে করলে ধর্ষণের অভিযোগ মাফ!

Turkey 02তুরস্কে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও মেয়েকে ধর্ষণের পর যদি ধর্ষক সেই মেয়েকে বিয়ে করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে। তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এ রকম একটি বিতর্কিত বিলে হঠাৎ করেই সমর্থন দিয়েছে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টি।

তুরস্কের মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংগঠনগুলো এই প্রস্তাবিত আইনের তীব্র সমালোচনা করছে। তারা বলছে, এই আইনের মানে দাঁড়াবে ধর্ষণকে আইনি বৈধতা দেওয়া।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির এমপিরা প্রস্তাবিত এই আইনটিতে বৃহস্পতিবার রাতে আকস্মিকভাবে তাদের সমর্থন জানান।

এই আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একটি শর্তে একবারের মতো ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে। শর্তটি হচ্ছে, তাকে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষিতাকে বিয়ে করলে তার সাজা মওকুফ করা হবে এবং তার বিচার খারিজ হয়ে যাবে।

সরকার বলছে, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা না বুঝেই অল্পবয়সী কোনও মেয়ের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদেরকে বিয়ে করার সুযোগ দেওয়া। তবে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে যেসব গ্রুপ তারা এর তীব্র সমালোচনা করছে। তারা বলছেন, যেসব পুরুষ জেনেশুনেই এই কাজটি করছিল তাদেরকেও এই আইনের আওতায় ক্ষমা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ধর্ষণ আইনি বৈধতা পেয়ে যেতে পারে।

আগামী মঙ্গলবার যদি পার্লামেন্টে এই আইনটি পাস হয় তাহলে আপাতত তিন হাজারের মতো পুরুষ এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

জরিপে দেখা গেছে, তুরস্কে গত কয়েক বছরে যৌন হয়রানির সংখ্যা বেড়েছে। দেশটিতে নারীদের ৪০ শতাংশই কোনও না কোনওভাবে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সমালোচকরা এজন্য এরদোয়ান সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।

/এমপি/