শীর্ষ সমালোচক রমনিকেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানাচ্ছেন ট্রাম্প!

 

nonameপররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার সামনে এসেছে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর মিট রমনির নাম। রমনি ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক। কট্টর রুশবিরোধী হিসেবে পরিচিত তিনি।  বেশ কয়েকজন ফ্রন্টরানারকে পেছনে ফেলে এখন তিনিই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। প্রভাবশালী দুই মার্কিন মিডিয়া সূত্রে এই খবর জানান গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও ওই দুই মার্কিন সূত্র উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশ করেছে। রমনি যদি সত্যিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান, তাহলে তাকে  রিপাবলিকান স্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সংযোগপ্রচেষ্টা হিসেবেই দেখতে চাইছে বিবিসি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এরইমধ্যে আলোচনায় এসেছে বেশ কয়েকজনের নাম। সর্বোচ্চ আলোচিত মেয়র রুডি জুলিয়ানি ছাড়াও জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন বোল্টন, সাবেক টেনেসি সিনেটর বব ক্রুকার, সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হলেকে সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে তাদের সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় এলেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক রমনি। তিনি মূলধারার রিপাবলিকান ঐতিহ্যের মানুষ। ট্রাম্পের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব ছিলেন তিনি। তবে সেই নিন্দুককেই এখন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সিএনএন এবং এবিসি নিউজে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই খবর সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি রমনি।
২০১২ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন রমনি। সিএনএন-এর দাবি, ট্রাম্প আগামীকাল (শনিবার) রমনির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। রমনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান কিনা তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে জানায় তারা। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনবিসি টেলিভিশন জানিয়েছে, ট্রাম্প রমনিকে দেশের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগের চিন্তা করছেন। এছাড়া, অ্যালাবামা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জেফ সেশন্স বলেছেন, দক্ষ রমনিকে নতুন সরকারের শীর্ষ কোনো পদে বসাতে পারেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, রমনির সঙ্গে ট্রাম্প যে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সেটি রিপাবলিকানদের জন্য ভালো খবর।


ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাকে ভাবছেন, এমন প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডলফ জুলিয়ানির নাম।  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জন বোল্টনও এসেছেন আলোচনায়। তবে জুলিয়ানি ও বোল্টন দুজনই বিতর্কিত। তাঁদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করার আগেই বিভিন্ন মহল থেকে উভয়ের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি উঠেছে। এরপর সাবেক টেনেসি সিনেটর বব ক্রুকার, সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হলের নাম সামনে আসে। তবে সব ছাপিয়ে এখন রমনির নামটিই বেশি উচ্চারিত হচ্ছে।

 এই পদক্ষেপকে মূলধারার রিপাবলিকানদের সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব কমানোর গভীর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

/বিএ/