এশিয়া ম্যারিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (এএমটিআই)-এর বরাত দিয়ে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এএমটিআই জানিয়েছে, গাভেন, হিউজ, জনসন ও কার্টেরন প্রবাল প্রাচীরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নিরাপত্তা মজবুত করার কাজ করছে চীন। এমনকি ফেরি ক্রস, সুবি ও মিসচিফ প্রবাল প্রাচীরেও এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ করছে চীন।
চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে দ্বীপগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এসব দ্বীপে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় এয়ারস্ট্রিপও নির্মাণ করা হয়েছে।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, গাভেন ও হিউজ প্রবাল প্রাচীরে বিমান বিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। সামনে থেকে আসা কোনও বস্তু শনাক্তের জন্য ফেরি ক্রসে বসানো হয়েছে ব়্যাডার।
এএমটিআই পরিচালক গ্রেগ পোলিং জানিয়েছে, এই প্রথম জোরের সঙ্গে তারা বলতে পারছেন, সেখানে বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে চীন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তারা ভাবতেও পারেননি, চীনা কর্তৃপক্ষ এতো বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দক্ষিণ চীন সাগরে বসাতে পারে তারা!
এএমটিআই-এর বিবৃতি প্রকাশের পর এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিপাইন। তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র চার্লস হোসে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘যদি এই প্রতিবেদন সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে এটি এক উদ্বেগের কারণ।’ এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স।
/এসএ/