যিশু নিজেও শরণার্থী ছিলেন, মনে করিয়ে দিলেন পোপ





পোপ ফ্রান্সিসযিশু নিজেও একজন শরণার্থী ছিলেন, মনে করিয়ে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সে কারণে শরণার্থী শিশুদের দুর্দশার মধ্য দিয়ে যিশুকে উপলব্ধি করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের ওই প্রার্থনা শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি। ভ্যাটিকানের ওই প্রার্থনায় বেশ কয়েকজন কার্ডিনাল, বিশপসহ প্রায় এক হাজার মানুষ সমবেত হন।

পোপ ফ্রান্সিস-১
জেরুজালেমের ছোট্ট শহরতলী বেথেলহামে জন্ম নেওয়া যিশুও শরণার্থী ছিলেন। স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে বাঁচতে রাতের আঁধারে মায়ের হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে হয়েছিল তাকে। সেখানকার রাজা হেরোদের ভয়ে শরণার্থী জীবন বেছে নিয়ে মিসরে যেতে হয়েছিল যিশুকে। যুদ্ধ-সংঘাতে ঘরহারা মানুষদের কথা বলতে গিয়ে পোপ ফ্রান্সিস যিশুর সেই শরণার্থী জীবনের কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, ‘সদ্যোজাত যিশু কারও দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, আবার অনেকেই তাকে বিভেদহীনভাবে স্বাগত জানিয়েছে।’

ভ্যাটিকানে বড়দিনের প্রার্থনা-১
শরণার্থী শিশুদের দুর্দশার মধ্য দিয়ে যিশুকে উপলব্ধি করার তাগিদ দেন পোপ। তিনি বলেন, ‘আজও সেই বিভেদহীনতা রয়েছে, যখন বড়দিন এমন এক ভোজসভায় পরিণত হয়েছে, যেখানে যিশু নন, আমরাই তার প্রধান চরিত্র। যখন বাণিজ্যের আলো ঈশ্বরকে ছায়ায় পরিণত করেছে আর আমরা কেবল উপহার পাওয়া ব্যাপারে উদ্বিগ্ন, কিন্তু প্রান্তিক মানুষদের প্রশ্নে থাকি নীরব।’

ভ্যাটিকানে বড়দিনের প্রার্থনা-২
সিরীয় যুদ্ধ, গুলিবিদ্ধ শরণার্থী নৌকা এব্ং জন্মের আগেই মাতৃগর্ভে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া যুদ্ধ-কবলিত শিশুদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ধন-সম্পদের প্রতি আসক্তি ইশ্বরকে আড়াল করে রেখেছে। অন্ধ করে রেখেছে অনেক মানুষকে, যে কারণে তারা ক্ষুধা-শরণার্থী জীবনের যন্ত্রণা আর যুদ্ধে যারা ক্লান্ত তাদের দিকে চোখ পড়ে না। তিনি বলেন, ‘ঠিক পথে বড়দিনের উৎসব পালন করতে চাইলে আমাদের এইসব ব্যাপারে প্রতি মনোযোগী হতে হবে।’
/বিএ/