ভারতের কয়লা খনিতে ধস, বহু হতাহতের আশঙ্কা

চলছে উদ্ধারের চেষ্টাভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে একটি কয়লা খনি ধসে পড়েছে। এতে আটকা পড়েছেন বহু শ্রমিক। এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডস লিমিটেড-এর মালিকানাধীন ঝাড়খণ্ডের গড্ডা জেলার লালমাটিয়ার ওই কয়লা খনিটি বৃহস্পতিবার রাতে ধসে পড়ে। ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডস লিমিটেডের সদর দফতর  শীতলপুর থেকে ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খনি ধসে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। খনির ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন ৪০-৫০ জন শ্রমিক। খনিতে শ্রমিক ছাড়াও বেশকিছু যান ও মেশিন চাপা পড়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আটকে পড়া শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা ১৫০ থেকে ২০০ জন হতে পারে।

খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ভারি কুয়াশা সত্ত্বেও শুক্রবার সকাল ৬টার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।  

খনি ধসে আটকা পড়ে শ্রমিক

খনি কর্মকর্তা সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, ‘আটকা পড়া শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে।’

মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস জানিয়েছেন, তিনি নিজেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

খনি ধসের খবর পেয়ে পাটনা থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। তারা শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

উদ্ধার করা শ্রমিকদের চিকিৎসা দেওয়া হয়

কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) জানিয়েছে, রাতে ওই কয়লা খনিতে ধসের পর থেকেই তারা চাপা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করছে। এর মধ্যেই কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খনিতে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা সবাই নিরাপদ রয়েছেন। তবে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্যগুলোর একটি। রাজ্যটির প্রায় ৪০ শতাংশ অধিবাসী দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আল-জাজিরা।

/এসএ/