ইস্তানবুলের নাইটক্লাবে সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ তুরস্কের

তুরস্কের নাইটক্লাবে হামলার সন্দেহভাজনথার্টিফার্স্ট নাইটে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের একটি নাইটক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ। তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তার ছবি প্রচার করে বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তিই নববর্ষের রাতে নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে। ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হন ৩৯ জন। আহত হন কমপক্ষে ৬৯ জন। হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যামেরায় তোলা ভিডিও থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, হামলার সময় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ঘাতকের অস্পষ্ট ছবিও প্রকাশ করেছে তুর্কি পুলিশ।

সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ওই হামলায় জড়িত থাকার দায়ে সন্দেহভাজন আট ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে ইস্তানবুলের জেইতিনবুরনু এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।  তবে সেখান থেকে কোনও প্রমাণ সংগ্রহ বা কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

১ জানুয়ারি রাত সোয়া ১টার দিকে ইস্তানবুলের বেসিকতাস এলাকার জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে প্রায় ৭০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হামলাকারীদের একজন সান্তা ক্লজের বেশে ছিল। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের অতিরিক্ত গাড়ি এবং বেশকিছু অ্যাম্বুলেন্স। হামলার পর আহত অবস্থায় অন্তত ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়। নাইটক্লাবের ভেতর হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশের স্পেশাল ফোর্সের কর্মকর্তারা।

এ হামলা ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইস্তানবুলের গভর্নর ভাসিফ শাহীন। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে জড়ো হওয়া নিরপরাধ মানুষের ওপর নৃশংস ও নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে; তাদের ওপর বুলেট বর্ষণ করা হয়েছে। রাত ১টা ১৫ মিনিটে এক বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর হাতে ক্লাবের বাইরে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ হন। এরপর ক্লাবের ভেতরে থাকা অন্য নাগরিকরা শহীদ হন।’

এশিয়া ও ইউরোপ দুই মহাদেশের নগরী হিসেবে খ্যাত তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী নগরী ইস্তানবুল। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে গড়ে তোলা ব্যাপক নিরাপত্তাবলয়ের অংশ হিসেবে ইস্তানবুলে ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এমন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যেই নগরীর ইউরোপ অংশে এ হামলা চালানো হয়।

/এমপি/