বুধবার ওই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়া ‘থার্ড পার্টি’র মাধ্যমে ওই ইমেইল উইকিলিকসের কাছে সরবরাহ করেছিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা কয়েক মাস আগেই জানিয়েছিলেন, ওই ইমেইল ফাঁসের সঙ্গে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। তবে তা নির্বাচনে কিভাবে প্রভাব ফেলেছে, সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা নিশ্চিত নন। তারা এজন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ট্রাম্পকে জয়ী করানোর জন্যই রাশিয়া ইমেইল ফাঁস করেছিল।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সামনে ইমেইল হ্যাক সম্পর্কিত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে, যা শুক্রবার ট্রাম্পের সামনেও উপস্থাপন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওবামা প্রশাসনের কাছে ইমেইল ফাঁস সম্পর্কে এতোটা তথ্য-প্রমাণ ছিল না। তবে এখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইমেইল ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয়ে ‘নিশ্চিত’।
তবে ওই কর্মকর্তারা তাদের দাবি করা ‘থার্ড পার্টি’ দিয়ে রুশ গোয়েন্দারা কিভাবে উইকিলিকসের কাছে ওই ইমেইল পাঠিয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা গত ২৯ ডিসেম্বর ৩৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, গত চার মাস ধরে বহু বিতর্কের পরই কেবল বারাক ওবামা রুশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
গত বছর আগস্টে প্রথম মার্কিন গোয়েন্দারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ওই ইমেইল ফাঁস হওয়ার দাবি করেছিল। তবে উপদেষ্টাদের অনুরোধ সত্ত্বেও ওবামা তখন রুশ সংযোগ প্রকাশে রাজি হননি। তার বদলে তিনি পুতিনকে সতর্ক করেছেন বলে জানান।
অক্টোবরে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আবারও রাশিয়াকে দায়ী করা হলেও ওবামা কোনও পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করেন বলে এক কর্মকর্তা জানান।
মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পরই কেবল ওবামা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রুশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সম্মতি দেন বলে অপর এক কর্মকর্তা জানান।
সূত্র: রয়টার্স।
/এসএ/