উল্লেখ্য, রবিবার (৮ জানুয়ারি) আরমন হানাতজিভ শহরে এক দল সেনা সদস্যের ওপর একটি ট্রাক নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। সেসময় চারজন নিহত হয়। পরে পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারীও নিহত হয়। রবিবার দুপুরের দিকে হামলাস্থল পরিদর্শনে যান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার কথা আমরা জানি। এক্ষেত্রে ফ্রান্স থেকে বার্লিন হামলা এবং এখন জেরুজালেম হামলা পর্যন্ত ঘটনাগুলোর মধ্যে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।’
গত বছর ফ্রান্সের নিস শহরে এবং জার্মানির বার্লিনে একই কায়দায় ট্রাক হামলা চালানো হয়েছিল।
ইসরায়েলের ন্যাশনাল পুলিশের প্রধান রনি আলসেইচ বলেন, ‘এটা হতে পারে যে গত মাসে বার্লিনে যে লরি হামলা হয়েছিল তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে জেরুজালেমে হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ কিসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে তা তাদের মাথায় ঢুকে জানা সম্ভব নয়, তবে এসবের যে প্রভাব রয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।’
হামলার শুরু থেকে ইসরায়েলি মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছিল হামলাকারী ব্যক্তি ফিলিস্তিনি। এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। ইসরায়েল রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা, ইচ্ছেকৃত হামলা।’ অবশ্য অতীতে আইএস-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলে হামলার হুমকি দেওয়া হলেও হামলার ঘটনা ঘটেনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এরইমধ্যে হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে হামলাকারীর নাম ফাদি কুনবার। তিনি পূর্ব জেরুজালেমের জাবেল মুকাবের এলাকার বাসিন্দা। এরপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে সন্দেহভাজনের পরিবারের ৫ সদস্যও রয়েছেন।
/এফইউ/