যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ গড়তে চান চীনা প্রেসিডেন্ট

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এ স্ত্রী পেং লিওয়াংয়ের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এ যোগ দিতে আসা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ স্থাপন করতে চান।

মার্কিন বিদায়ী প্রশাসনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক বৈঠকে জিনপিং বলেন, ‘দেশ দু’টির জনগণ ও বিশ্ববাসী চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আশা করে।’

এক বিবৃতিতে জিনপিং বলেন, ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৩৮ বছরে দেশ দু’টির সম্পর্ক ভালো-মন্দ মিলিয়েই চলেছে। তবে তা সামনে এগিয়ে গেছে।’

ওবামা প্রশাসনের প্রশংসা করে জিনপিং বলেন, এই প্রশাসন একটি ‘সঠিক’ উন্নয়ন সম্পর্ক চালিয়ে গেছে চীনের সঙ্গে। যার ফলে চীনা ও মার্কিন জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘ইতিবাচকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সমঝোতার সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে আগ্রহী তার দেশ।

মঙ্গলবার ডব্লিউইএফ-এর উদ্বোধনী ভাষণে জিনপিং ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি বৃহৎ সাগরের মতো। চাইলেও এ থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে। বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে এ ক্ষেত্রে কেউ জিতবে না।’

উল্লেখ্য, আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও চীনে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই বলে আসছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে চীনা কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও, নির্বাচিত হওয়ার পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি কথা বলাকে ভালোভাবে নেয়নি চীন। এই ঘটনাকে ‘এক চীন’ নীতিকে অগ্রাহ্য করা বলেই মনে করে বেইজিং। অপরদিকে, ট্রাম্প ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানান।

সূত্র: রয়টার্স। 

/এসএ/