ফিলিস্তিনে ঐকমত্যের সরকার গড়তে একমত ফাতাহ ও হামাস

মাহমুদ আব্বাস ও খালেদ মিশালরাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে তিনদিনের আলোচনার পর ঐকমত্যের সরকার গড়তে একমত হয়েছে ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাস।

মঙ্গলবার ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হামাসের সঙ্গে ঐকমত্যের সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই দু’টি দল একটি নতুন ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন করবে। যার সদস্য হতে পারবেন নির্বাসিত ফিলিস্তিনিরাও। এই ন্যাশনাল কাউন্সিল নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ঐকমত্যের সরকার গঠনের আলোচনায় ইসলামিক জিহাদ গ্রুপও অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।  

ফাতাহ-র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজম আল-আহমাদ জানান, ‘এমন উদ্যোগের জন্য অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে আজকের অবস্থা ভালো।’  

২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের বিজয়ের পর ২০০৭ সালে গাজায় দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সহিংসতা প্রায় গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। এর ১০ বছর পর গত বছর হাই কোর্টের আদেশে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দল সোমবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তারা রুশ কর্তৃপক্ষকে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।

এক সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শান্তি আলোচনার সাবেক উপদেষ্টা খালেদ এলজিন্দি জানান, ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দলগুলোর এবারের চুক্তি আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে ভিন্ন। মার্কিন প্রশাসনে নেতৃত্বের পরিবর্তন হওয়ায় এবারের ঐকমত্যের সরকারের চরিত্রেও ভিন্নতা থাকবে বলে তিনি মনে করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে নিজের জনগণের আকাঙ্ক্ষার দিকেই লক্ষ্য দিতে হবে। যেখানে পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।’

এবারের আলোচনার ভিন্নতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আল-জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি নাতাশা ঘুনেইম বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে এ ধরণের শান্তি আলোচনায় ভীষণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকে। কিন্তু তারা এবার এক ভিন্ন পথে যেতে চেয়েছেন। আর রাশিয়া নিশ্চিতভাবেই সেই ভিন্ন পথ হাজির করেছে।’

সূত্র: আল-জাজিরা। 

/এসএ/