ট্রুথ কমিশন গঠনের অঙ্গীকার গাম্বিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের

আদামা বারোগাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ’র শাসনামলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনায় ট্রুথ কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আদামা বারো। বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ট্রুথ কমিশন বলতে সাধারণভাবে আইনগতভাবে স্বীকৃত একটি কমিশনকে বুঝায় যা কাউকে অভিযুক্ত হওয়া থেকে অব্যাহতি বা দায়মুক্তি প্রদান করে। এই দায়মুক্তি এমন ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যিনি স্বাভাবিক আইনে বিচারযোগ্য কোনও অপরাধে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বেচ্ছায় প্রকাশ করেন।

বিবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের দেশে ফেরা নিয়েও কথা বলেন আদামা বারো। তিনি বলেন, আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট 'ইকওয়াস'-এর নেতারা যখন মনে করবেন গাম্বিয়া তার জন্য নিরাপদ তখনই তিনি সেনেগাল থেকে দেশে ফিরবেন।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি সেনেগালের রাজধানী ডাকারে নিযুক্ত গাম্বিয়ার দূতাবাসে নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আদামা বারো।

গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আদামা বারো’র কাছে পরাজিত হন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে তিনি ৯০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান ইয়াহিয়া। কিন্তু আফ্রিকান ইউনিয়ন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছে।

গাম্বিয়ার সেনাপ্রধান ওসমান বাদজি জানিয়েছেন, তার সেনাবাহিনী সেনেগালের সঙ্গে লড়াই করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক লড়াইয়ে জড়িত হবো না। এটা একটি রাজনৈতিক বিতর্ক। আমি আমার সেনাদের বোকাদের মতো যুদ্ধে জড়িত হতে দেবো না। আমি আমার মানুষকে ভালোবাসি।’

সামরিক আগ্রাসনের হুমকিতে অন্তত ২৬ হাজার গাম্বিয়ান সেনেগালে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন ইয়াহিয়া জামেহ। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।

/এমপি/