কানাডার মসজিদে হামলা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ: ট্রুডো

Untitled-1কানাডার মসজিদের গোলাগুলিকে মুসলিমদের ওপর পরিচালিত সন্ত্রাসবাদী হামলা বললেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট খবরটি নিশ্চিত করেছে।কুইবেক সিটির ওই মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে তিন বন্দুকধারী কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে গিয়ে অতর্কিত গুলি চালানো শুরু করে। সে সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বন্দুকধারীরা যখন মসজিদটিতে হামলা চালায় তখন সেখানে ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ ও প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

জাস্টিন ট্রুডো
ঘটনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ধর্মীয় উপাসনালয়ে মুসলমানদের ওপর এমন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ মুসলমানরা কানাডার জাতি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের দেশ, আমাদের শহর আর আমাদের সম্প্রদায়ে নির্বোধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনও স্থান নেই।’

এর আগে ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মসজিদ কমিটির প্রেসিডেন্ট শাহিদ হাশমি বলেন, 'এখানে দাঁড়িয়ে মসজিদটি ধ্বংস হতে দেখা খুব কষ্টের। এটা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।'

ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারা শরণার্থীদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরইমধ্যে রবিবার বন্দুকধারীদের হামলার শিকার হলো কুইবেক সিটির ওই মসজিদটি।

/বিএ/