ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি বলে দাবি করেছে ফ্রান্স। বুধবার (২২ মে) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফানে সেজর্ন বলেছেন, এমন সিদ্ধান্তকে অবশ্যই প্রতীকী বা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি কিছু হতে হবে। তিন ইউরোপীয় দেশ–স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড– ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় দেওয়ার ঘোষণার পর ফ্রান্স এই অবস্থান জানালো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে দেশটির দূরে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দেশ তিনটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ২৮ মে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে তাদের দেশ। তাদের প্রত্যাশা, এর ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ গতি পাবে।
প্যারিসে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে বৈঠকের ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রান্স মনে করে না এমন সিদ্ধান্তের শর্ত পূরণ হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত প্রভাব রাখবে না।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল যে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া নিষিদ্ধ নয়, তবে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনের জন্য একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হওয়া উচিত।
বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ও আরব দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আহ্বান থাকলেও ফ্রান্স বলছে, প্রকৃত আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে সংঘাতে তেমন কোনও পরিবর্তন আনবে না।
ফরাসি মন্ত্রী বলেছেন, এটি শুধু প্রতীকী ইস্যু বা রাজনৈতিক অবস্থানের কোনও প্রশ্ন নয়। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য এটি একটি কূটনৈতিক হাতিয়ার।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কোনও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রকৃত গতি না পেলে প্রতীকী স্বীকৃতির কোনও গুরুত্ব নেই।
এই বিষয়ে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।