বানোয়াট সংবাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এমপিদের তদন্ত শুরু

বানোয়াট সংবাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এমপিদের তদন্ত শুরুমিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের ছড়াছড়ি, এর উৎস ও প্রভাব জানতে একটি সংসদীয় তদন্ত ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। হাউস অব কমন্স-এর কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব প্রচারণা ও বানোয়াট খবর জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে উদ্বেগ তৈরির প্রেক্ষিতে এ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।

হাউস অব কমন্স-এর কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট কমিটির চেয়ারপার্সন ডামিয়ান কলিন্স বলেন ‘মিথ্যা খবরের ছড়াছড়ি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং এতে মিডিয়ার প্রতি আস্থার জায়গাটি ক্ষুণ্ন হয়। বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন অনলাইন পাইরেসি ও অবৈধভাবে কনটেন্ট ভাগাভাগির বিরুদ্ধে লড়াকে নিজেদের সামাজিক দায়িত্ব বলে মেনে নিয়েছে তখন ভুয়া সংবাদের ছড়াছড়ি বন্ধেও তাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

ডামিয়ান আরও বলেন, ‘অনলাইন পাঠকদের কাছে এমন উপকরণ পৌঁছে দেওয়া উচিত যা দিয়ে তারা কোনও সংবাদের মূল ও সত্যতা নিজেরাই বের করতে পারবে। ভুয়া সংবাদের উৎস খোঁজার পাশাপাশি মানুষ কেন ভুয়া সংবাদ ছড়ায় এবং নির্বাচন ও অন্য রাজনৈতিক বিতর্কগুলোকে ঘিরে এটি কিভাবে ব্যবহার করা হয় সেইসব ইস্যু নিয়ে তদন্ত করবে কমিটি।’

বিজ্ঞাপন যেভাবে কেনা, বেচা এবং অনলাইনে প্রদর্শন করা হয় সেভাবে ভুয়া সংবাদের ছড়াছড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করবেন ব্রিটিশ এমপিরা। ভুয়া সংবাদের ছড়াছড়ি বন্ধে সার্চ ইঞ্জিন ও সামাজিত মাধ্যমের ভূমিকাও নিরূপণ করবেন তারা।

মার্চের শুরু থেকে আগ্রহী পক্ষগুলোর কাছ থেকে লিখিত জমা চেয়েছে কমিটি। এ ব্যাপারে শুনানি হওয়ারও কথা রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে নিজস্ব তদন্ত শুরু করে বিরোধী দল লেবার পার্টি। সাবেক শেডো সংস্কৃতি মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের নেতৃত্বে সে তদন্ত শুরু হয়েছিল।

এ ইস্যুটি বিশেষ করে সামনে আসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। কেননা, তখন পোপসংক্রান্ত বানোয়াট সংবাদসহ বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছিল। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে যেসব বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো তিন কোটি বারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে।

অবশ্য, নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনলাইন প্রতারণা ও প্রচারণার খুব সীমিত প্রভাবই রয়েছে।

/এফইউ/