ট্রাম্পকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেখতে চান না স্পিকার বারকো

জন বারকো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পযুক্তরাজ্য সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার ‘তীব্র বিরোধিতা’ করেছেন স্পিকার জন বারকো। ট্রাম্পকে পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানাতে চান না বলে তিনি জানান। ট্রাম্পের ভাষণের বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট সদস্যদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারকো এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসন্ন এ সফরকে কেন্দ্র করে ১৬৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য ট্রাম্পকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ না দিতে স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন জানান। ওই আবেদনে ট্রাম্পকে পার্লামেন্টে ভাষণের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।   

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারকো বলেন, ‘পার্লামেন্টে একজন বিদেশি নেতার ভাষণ দেওয়ার সুযোগটি স্বয়ংক্রিয় অধিকার নয়, বরং তা অর্জিত সম্মান।’

বারকো জানান, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘বর্ণবাদ এবং লিঙ্গবৈষম্য বিরোধী’ অবস্থানের জন্যই তিনি ট্রাম্পের ভাষণের বিরোধিতা করেছেন।

কোনও বিদেশি নেতাকে পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার জন্য যে তিনজনের অনুমোদন প্রয়োজন, হাউস অব কমনসের স্পিকার তাদের একজন। অপর দু’জন হলেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্পিকার লর্ড ফওলার এবং পার্লামেন্ট ভবন প্যালেস অব ওয়েস্টমিনিস্টারের দায়িত্বে থাকা লর্ড গ্রেট চ্যাম্বারলেইন।   

বারকো বলেন, ‘অভিবাসী নিষেধাজ্ঞার আগেও আমি পার্লামেন্টে ট্রাম্পের বক্তব্য রাখার বিরুদ্ধে ছিলাম। আর ওই নিষেধাজ্ঞার পর এখন আরও তীব্রভাবে ট্রাম্পের বক্তব্য রাখার বিরোধিতা করছি।’

এই ব্রিটিশ স্পিকার জানান, তিনি ট্রাম্পকে পার্লামেন্টের অন্য কোনও কক্ষেও দেখতে চান না। বারকো বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে পার্লামেন্টের রয়েল গ্যালারিতেও বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানাতে চাই না।’

বারকো ওই মন্তব্য পার্লামেন্ট সদস্যরা ব্যাপক করতালির মাধ্যমে গ্রহণ করেন। তবে ওই বক্তব্যের আগে বারকো পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের স্পিকারকে কিছু জানাননি বলে এক বিবৃতিতে লর্ড ফওলারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।    

উল্লেখ্য, ১৮ লাখ মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত যে আবেদন করা হয় স্পিকার বরাবর, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তা ওপর পার্লামেন্টে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/