মসুল বিমানবন্দর আইএস-মুক্ত হয়েছে: ইরাকি বাহিনী

nonameমধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গিদের কাছে থেকে মসুল বিমানবন্দর নিজেচদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী। ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই খবর জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদক জানিয়েছে, সমগ্র মসুলে দখল প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে এটি ইরাকি বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

মসুল শহর ছিনিয়ে নিতে বিমানবন্দরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বলে বিবেচনা করা হয়। এরইমধ্যে আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে মসুলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বড় ধরণের সাফল্যের দাবি করেছে ইরাকের সরকারি সেনারা।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামরিক পুলিশ বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছে। তাদের সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়েছে। কাছাকাছি আল গাজলানি নামের অঞ্চলেও আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে ইরাকি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার শহরের পশ্চিমাংশের বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলের পর মসুল এয়ারপোর্টের দিকে অগ্রসর হয় ইরাকি বাহিনী। গাড়িবোমা এবং ড্রোন থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপের মাধ্যমে সরকারি বাহিনীর ভারি কামান এবং হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহারের জবাব দেয় জঙ্গিরা।

কয়েকশ সামরিক যান এবং হাজার হাজার ইরাকি সেনা, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী এবং শিয়া ও কুর্দি সশস্ত্র যোদ্ধারা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।

গত মাসে ইরাকি যোদ্ধারা জঙ্গিদের কাছ থেকে মসুলের পূর্বাঞ্চল মুক্ত করেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমের সরুগলিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন যোদ্ধারা। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, পশ্চিম মসুলে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারেন।

অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে টেলিভিশনে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আবাদি বলেন, ‘আমরা অভিযানে নতুন ধাপ শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা মসুলকে মুক্ত করতে নিনেভেহতে আসছি। আইএসের আতঙ্ক থেকে জনগণকে মুক্ত করতে আমাদের বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।’ এর আগে পশ্চিম মসুলে বিমান থেকে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

ইরাকি বাহিনী পশ্চিম মসুলের বেশকিছু এলাকা ঘিরে রেখেছে। আর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

/বিএ/