মসুল অভিযানে আইএস-সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিহত

nonameইরাকিকের মসুলে দুই ব্রিটিশ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এদের একজন ইরাকি বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অপরজনের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

সুদানের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন আহমেদ সামি।  ডাক্তার হওয়ার আগেই আইএস-এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ২৫ বছর বয়সী সামি। খেদের দক্ষিণ লন্ডনের কারশালটনের এই বাসিন্দা গত সপ্তাহের রবিবার এক গাড়িবহরে মসুল ত্যাগ করছিলেন। সেসময় ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে হিসাম ফাদাল্লাহ নামের আরেক ব্রিটিশ নিহত হওয়ার খবর দেয় গার্ডিয়ান। তিনিও গাড়িবহরে থাকা অবস্থায় ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি। তবে ইরাকের জঙ্গিবাদ-বিষয়ক লেখক হিশাম আল-হাশিমি জানিয়েছেন, পরিবারের মাধ্যমে হিশামের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি নিহত দুই ব্রিটিশের নাগরিকতাও নিশ্চিত করেন।
সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়লয়ের এক মুখপাত্র জানান, আমরা ব্যাপারটা জানি। আমরা ইরাকে ভ্রমণকারীদের বারবার নিষেধ করে দেই এসব স্থানে না যাওয়ার জন্য। তবুও তার সেখানে গিয়ে বিপদে ফেলে। দ্য সানডে টাইমস জানায়, খেদের ও ফাদাল্লাহার মতো অনেক ব্রিটিশ শিক্ষার্থীই সিরিয়ায় ভ্রমণ করেছে। গত মাসে সহোদর সহ ২২ জন আইএসে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
সামি খেদের ও ফাদাল্লাহ ২০১৫ সালে সুদানের খারতুম ত্যাগ করে সিরিয়া পাড়ি জমায়। তাদের সঙ্গে সামি খেদেরের বোনও ছিলো। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক কালচারাল এসোসিয়েশনের মাধ্যমেই ব্রিটিশ শিক্ষার্থীরা পথভ্রষ্ট হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করছে দ্য গার্ডিয়ান। ২০১১ সালে মিডলসব্রোয় ফাখলি আল খাবাস এর সভাপতির দায়িত্বপালন শুরু করেন। সামিকে তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
/এমএইচ/বিএ/