মসুলে ইরাকি বাহিনীর ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ ব্যবহারের আলামত

nonameইরাকের মসুলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক হামলায় ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এদের মধ্যে ১১ মাসের শিশুও রয়েছে।

বিবিসি ইরবিলের কাছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) একজন চিকিৎসকের কাছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। হামলায় কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তা রেডক্রেসের ওই চিকিৎসক বলতে পারেননি। তবে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ফলে যে সব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলোরই চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসায়নিক এজেন্ট আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট এবং ত্বকের সমস্যায় ভুগছে ১১ বছরের একটি ছেলে। আহত হয়েছে একমাসের শিশুও। রেডক্রস জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘন্টার লড়াইয়ে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় আহত ৫ শিশু এবং দুই নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের চামড়ায় ফোসকা পড়াসহ চোখ লাল হয়ে হয়ে গেছে, তারা বমি করছে এবং কাশছে।

এদিকে পূর্ব মসুলে বাড়িঘরের ওপর মর্টারের গোলা হামলা এবং ঝাঁঝালো রাসায়নিকের গন্ধ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ দুটো ঘটনাতেই লোকজন আহত হয়েছে। হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি। তবে মর্টার হামলা সাধারণত পশ্চিম মসুল থেকেই চালানো হয়-  যে অঞ্চলটি এখনও আইএসের দখলে আছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে একবার সতর্ক করে বলেছিল, আইএস লড়াইয়ে সালফার মাস্টার্ড যুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

মসুলের লড়াইয়ে ইরাকি বাহিনী এরই মধ্যে আরেকটি এলাকা আইএসের কাছ থেকে দখলে নিয়েছে। এখন তারা শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে আরও তীব্র লড়াই হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

/বিএ/