তিন দিনের এশিয়া সফরে টিলারসন গতকাল জাপানে পৌঁছান। তিনি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হুমকি মোকাবিলার উপায় নিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। এবার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন, এই তিন দেশ সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
টিলারসন চীনা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, দেশটির যেসব কোম্পানি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এপ্রিলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে টিলারসনের চীন সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা বিতর্ক, তাইওয়ান প্রশ্ন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও ড্রোন স্থাপনের জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে।
মার্কিন নীতি-নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশন-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ব্রুস ক্লিংনার বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য এক সামরিক হুমকি। আর চীন সমাধানের চেয়ে বেশি সমস্যারই অংশ।’ তিনি চীনকে জাতিসংঘে ‘উত্তর কোরিয়ার আইনজীবী’ বলেও উল্লেখ করেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার জানান, টিলারসনের সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা চলছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও টোনার জানান।
/এসএ/