শরণার্থীবাহী নৌকায় হামলার জন্য সৌদি জোটকে দায়ী করলো সোমালিয়া

শরণার্থীইয়েমেনের উপকূলে শরণার্থীবাহী নৌকায় বিমান হামলার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে দায়ী করেছে সোমালিয়া। এ হামলার নিন্দার পাশাপাশি এর তদন্তের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে আহ্বান জানিয়েছে।

ইয়েমেন উপকূলে সোমালি শরণার্থীদের বহনকারী ওই নৌকা লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়। হামলায় ৩৩ জন নিহত হয় বলে জানায় ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)। অবশ্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ৪০ জন নিহতের খবর জানায়।  তবে হতাহতের সংখ্যা নিজেরা খতিয়ে দেখেনি তারা। সোমালিয়ার শরণার্থীদের বহনকারী নৌকাটি ইয়েমেন থেকে সুদানের দিকে যাচ্ছিল। বাব-আল-মান্দেব প্রণালির কাছাকাছি পৌঁছানোর পর একটি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার থেকে হামলা হয়। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এই প্রেক্ষাপটে সোমালিয়া সরকার  দাবি করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটই এ হামলা চালিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদিসালাম ওমার রাষ্ট্রীয় রেডিওকে বলেন, ‘নিষ্পাপ সোমালি জনগণের ওপর যা ঘটেছে তা খুবই ভয়াবহ। ইযেমেনে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটই এর জন্য দায়ী।’

এ হামলার জন্য ইয়েমেন সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আবদিসালাম আরও বলেন, যারা দায়ী তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাসান আলি খায়ের আলাদা একটি বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘নৃশংস ও মর্মান্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইয়েমেনের শিয়া বিদ্রোহীরাও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে দায়ী করেছে। অবশ্য, জোটটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ ২০১৫ থেকে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বিমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দেশজুড়ে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের উত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন মানসুর হাদি।

/এফইউ/