উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসে এক ঘণ্টার জন্য বাতি নিভিয়ে পরিবেশ সচেতনতামূলক ‘আর্থ আওয়ার’ পালন শুরু হয়। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) অস্ট্রেলিয়া এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। এ বছর ১৭২টি দেশে আর্থ আওয়ার পালন করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে এবং এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কয়েক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার লক্ষ্যে শামিল হবে ৭০০০টি শহর।
অস্ট্রেলিয়ার আর্থ আওয়ার পালিত হবে এমন বিখ্যাত ভবন ও স্থাপনাগুলোর মধ্যে আছে-সিডনির অপেরা হাউস, হারবার ব্রিজ, লুনা পার্ক, টাউন হল এবং সিডনি টাওয়ার আই। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন আকাশচুম্বী ভবনেও আর্থ আওয়ার পালিত হবে। এগুলোর মধ্যে আছে- দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফা, লন্ডনের বিগ বেন ও পার্লামেন্ট হাউস, ইস্তানবুলের ব্লু মসজিদ, আইফেল টাওয়ার, মস্কোর ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার এবং মিসরের পিরামিড।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড এর দাবি, আর্থ আওয়ার –এর কারণে বেশ কয়েকটি পরিবেশবিষয়ক উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে আছে, ২০১৩ সালে আর্জেন্টিনার ৩.৪ মিলিয়ন হেক্টর সমুদ্র এলাকাকে মেরিন পার্ক ঘোষণা, উগান্ডায় বনায়ন এবং গোলাপাগোস আইল্যান্ডে নরম প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা।
/এফইউ/