ম্যান্ডেলার সহযোগী বর্ণবাদবিরোধী নেতা কাথরাদার জীবনাবসান

আহমেদ কাথরাদাচিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল এক বর্ণবাদবিরোধী কণ্ঠ। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের জোরালো কণ্ঠস্বর আহমেদ কাথরাদা চলে গেলেন জীবনের ওপারে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এক বিবৃতিতে কাথরাদার ফাউন্ডেশন খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার শেষে সাময়িক অসুস্থতায় ভোগার পর জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে শান্তিপূর্ণভাবে কাথরাদার জীবনাবসান হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কারাভোগের অন্যতম সহচর ছিলেন কাথরাদা। ১৯৬৪ সালে ম্যান্ডেলাসহ আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস-এএনসির আট সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। কাথরাদা ছিলেন তাদেরই একজন। সংখ্যালঘিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
১৯২৯ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেন কাথরাথা। আদর করে অনেকে তাকে ক্যাথি বলে ডাকতেন। তিনি কেবল ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ছিলেন না, ছিলেন একজন মানবাধিকার কর্মীও। সমাজের অভ্যন্তরে জারি থাকা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে গেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রশাসনের সমালোচনাতেও মুখর ছিলেন কাথরাদা। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে পদত্যাগও করতে বলেছিলেন তিনি। 

নিজ বাড়ি সংস্কারে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন জ্যাকব। নিজ দলের প্রতিনিধি জ্যাকব জুমাকে উদ্দেশ্য করে কাথরাদা বলেছিলেন, জুমা পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যকার ‘আত্মবিশ্বাসের সংকট’ কেটে যাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করতাম।’
/এফইউ/বিএ/