কঠোর নিরাপত্তায় রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

_95750172_bc185e4b-bcf7-4f0c-9b80-764473f8db26

রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মোট ১১ জন প্রার্থী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে রাজধানী প্যারিসে ‘জঙ্গি হামলা’ নির্বাচনকে অনেকটাই প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। হামলার পর ৫০ হাজার পুলিশ ও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে কট্টর-ডানপন্থি প্রার্থী মারিন ল্য পেনের জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে জনমত জরিপগুলোর ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবগুলো জনমত জরিপে চারজন প্রার্থী পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে। এবারের নির্বাচনের জনমত জরিপে দেখা গেছে, মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং উগ্র-ডানপন্থী মেরিন লে পেন খানিকটা এগিয়ে আছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের ক্ষমতা এর আগে পর্যন্ত মধ্য-বামপন্থী এবং মধ্য-ডানপন্থী প্রার্থীদের মধ্যে থাকলেও, এবার তাতে ছেদ পড়তে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে

প্রচারণার কাজে আলপস ভ্রমণরত রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রচারণা চালানোর কোনও মানে হয় না। প্রথমেই আমাদের পুলিশের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।’ তার দাবি, ‘ইসলামি কর্তৃত্ববাদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই হবে তার সরকারের প্রধান কাজ।

কট্টর বামপন্থী প্রার্থী জ্যঁ-লুক মেলেঁকন জানিয়েছেন, ‘আমাদের আরও নিশ্চিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হলেও নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। আমরা যেন ভীত না হয়ে পড়ি। নির্বাচন যেন বিঘ্নিত না হয়,  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা উচিত।’

গত সপ্তাহে অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা লি পেনও মুখ খুলেছেন সর্বশেষ হামলার ঘটনা নিয়ে। তিনি বলেন, ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকার হই আমরা, আমি তা চাই না। আমাদের নরম হওয়া চলবে না। আমরা শিশুদের এমন দেশে রাখতে চাই না যে দেশ তাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না।

এর আগে দিনের শুরুতে ম্যাক্রনও গুলির ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম কাজ হবে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া।

বৃহস্পতিবারের একটি জনমত জরিপ অনুসারে, নির্বাচনি লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে ম্যাক্রন ও লি পেন। যদিও তাদের দুজনের মধ্যকার ব্যবধান আগের চেয়ে বেড়েছে। ম্যাক্রন ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ আর তার পেছনে ২১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে রয়েছে লি পেন। আর প্রচারণার শুরুতে জনপ্রিয় ফিলন ২০ শতাংশ এবং মেলেঁকন ১৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন জরিপে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো এই নির্বাচনে অংশ নেবেন প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ভোটার।  

সূত্র: বিবিসি

/এমএইচ/