এক বিবৃতিতে পোপের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিসরের কর্তৃপক্ষ। ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার ভ্যাসিলিকার পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে পোপের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভ্যাটিকানের বিবৃতিতে বলা হয়, এ সফরে শান্তি, মানবতা, সহিষ্ণুতার চেতনায় সমাজ থেকে কিভাবে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে কিছুদিন আগে মিসরের একটি গির্জায় হামলার পর সেখানে মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে পোপের সাক্ষাতে আপত্তি তুলছে রক্ষণশীল খ্রিস্টানরা। রক্ষণশীল মাসিক ম্যাগাজিন ক্রিস্টিয়ান রুটস-এর সম্পাদক দে মাতেই। তিনি বলেন, ভারসাম্যহীন বা উন্মত্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে একটা জনগোষ্ঠী (মুসলিম) সপ্তম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টধর্মের বিরোধিতা করে এমন একটি ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছে।
মিসর সফরের প্রাক্কালে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় পোপ বলেন, পুরো দুনিয়া এক অন্ধ সহিংসতা আর নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আশা করি, এই সফর শান্তি এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপে সাহায্য করবে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিস মন্তব্য করেন, ইসলামি সন্ত্রাসবাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। তিনি বলেন, খ্রিস্টান সন্ত্রাসবাদ নেই, ইহুদি সন্ত্রাসবাদ নেই এবং মুসলিম সন্ত্রাসবাদও নেই। এসব সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব নেই। সমান সুযোগ না পাওয়ার পরও দরিদ্র ও দরিদ্রতম মানুষদের সহিংসতায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আগ্রাসনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও সংঘাতের কারণে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাবে এবং এক সময় এটা চরম রূপ নিতে পারে।
পোপ বলেন, সব ধর্মই শান্তির কথা বলে এবং সব ধর্মের উগ্রবাদী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে। সব মানুষ ও ধর্মের মধ্যে মৌলবাদী ও সহিংস ব্যক্তি রয়েছেন। অসহিষ্ণুতার সরলীকরণের ফলে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠছে।
বিশ্বের বেকারত্ব ও দুর্নীতি কমিয়ে আনারও আহ্বান জানান পোপ। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা অস্বীকারের সমালোচনা করেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স, এক্সপ্রেস ইউকে।
/এমপি/